ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করল তুরস্ক
গাজায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রাখায় ও যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হওয়ায়— ইসরায়েলে নিযুক্ত নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে তুরস্ক। এছাড়া ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে দেশটি।
শনিবার এক বিবৃতিতে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা, যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান এবং বাধাহীন ত্রাণসহায়তা প্রবেশ করতে না দেওয়ার ফলে সৃষ্ট মানবিক ট্র্যাজেডির পরিপ্রেক্ষিতে তারা তুর্কি রাষ্ট্রদূত সাকির ওজকান তোরুনলারকে প্রত্যাহার করেছেন।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলা শুরুর পর থেকেই তেল আবিবের কড়া সমালোচনা করে আসছে তুরস্ক। গাজায় ইসরায়েলের বিমান ও স্থল অভিযানের এরই মধ্যে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার শিশু রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সের উপর ইসরায়েলের হামলায়
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজধানী আঙ্কারায় যাওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের। মার্কিন মন্ত্রীর সফরের আগ মুহূর্তে ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে তুরস্ক।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই জনরোষের মুখে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে বসেছে আরব দেশগুলো। এই যুদ্ধ শুরুর পরপরই এক সময় সম্পর্ক স্বাভাবিক করা দেশগুলোও ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়নে জড়িয়েছে। এরই মধ্যে জর্ডান ও বাহরাইন দেশটি থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা স্থগিত করে দিয়েছে সৌদি আরব।