০৪ মার্চ ২০২৩, ১০:৩৪

ইন্দোনেশিয়ায় তেলের ডিপোতে আগুন, নিহত ১৭

ইন্দোনেশিয়ায় তেলের ডিপোতে আগুন, নিহত ১৭  © সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার উত্তরাঞ্চলের তানাহ মেরাহ এলাকায় বড় একটি তেলের ডিপোতে আগুন লেগেছে। এ ঘটনায় দুই শিশুসহ অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৬ শ’রও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস দপ্তরের উদ্ধারকর্মীরা। এর মধ্যে গুরুতর আহত ১২ জন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার (৩ মার্চ) রাতে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার উত্তরে তানাহ মেরাহ এলাকায় ‘প্লামপাং’ জ্বালানি স্টেশনে আগুন লাগে। এটি ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম বড় তেলের ডিপো। রাষ্ট্রীয় জ্বালানি সংস্থা পের্তামিনা ডিপোটি পরিচালনা করত। 

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর জাকার্তার তানাহ মেরাহ পাড়ার ঘনবসতিপূর্ণ একটি এলাকার কাছে রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস কোম্পানি পেরটামিনা পরিচালিত একটি ডিপোয় শুক্রবার আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ছড়িয়ে পড়া আগুন রাত সাড়ে ১০টায় নিয়ন্ত্রণে আসে। এটি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন অন্তত ২৬০ জন দমকলকর্মী এবং ৫২টি দমকল ইঞ্জিন। 

জাকার্তার ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের প্রধান সত্রিয়াদি গুনাওয়ান বলেছেন, আবাসিক এলাকাটিতে বসবাসকারী লোকজনকে এখনো সরানো হচ্ছে। কাছাকাছি একটি গ্রামের হল ও মসজিদে রাখা হচ্ছে তাদের।

তিনি জানিয়েছেন, আগুনের কারণে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে এবং এরপর দ্রুত আবাসিক ভবনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় দুই শিশুসহ অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত ৫০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের জখম গুরুতর। সদুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া ৬ শতাধিক মানুষকে আপাতত জাকার্তার কয়েকটি সরকারি অফিসের কার্যালয় ও একটি স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জাকার্তার গভর্নর হেরু বুদি হারতোনো।

আরও পড়ুন: আজ রাজধানীর বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’

পেরটামিনার এরিয়া ম্যানেজার ইকো ক্রিস্টিয়াওয়ান বলেছেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ভারী বৃষ্টির মধ্যে একটি পাইপলাইন ফেটে গেলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সম্ভবত বজ্রপাতের কারণে পাইপটি ফেটে গিয়েছিল।’ ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি চাহিদার প্রায় ২৫ শতাংশ সরবরাহ করা হয় এই ডিপো থেকে। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণে তেল-গ্যাস সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না বলে দাবি করেছেন ক্রিস্টিয়াওয়ান।

ভয়াবহ আগুনে ক্ষয়ক্ষতির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন পেরটামিনার প্রধান নির্বাহী নিক উইদ্যওয়াতি। ভবিষ্যতে অনুরূপ ঘটনা যেন ফের না ঘটতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখার কথা জানিয়েছেন তিনি।