সোশাল মিডিয়া প্রভাব ফেলে কিশোর মস্তিষ্ক গঠনে: গবেষণা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:৩৮ PM , আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:৩৮ PM
সামাজিক মাধ্যমে ঘন ঘন প্রবেশের প্রবণতা কিশোর-কিশোরীদের মস্তিষ্কের উন্নয়নে প্রভাব ফেলতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এমন সতর্কবার্তাই উঠে এসেছে।
সামাজিক মাধ্যম ঘন ঘন ও অতিমাত্রায় ব্যবহারের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমের পুরস্কার বা সাজার ফলে কিশোর মস্তিষ্ক আগের চেয়ে বেশি স্পর্শকাতর হয়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন মেডিকেল জার্নাল ‘জামা পেডিয়াট্রিক্সের’ গবেষণা।
গবেষক ও এই গবেষণার সহ লেখক এবং ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলাইনা-চ্যাপেল হিলের অধ্যাপক ইভা টেলজার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যেসব শিশু সামাজিক মাধ্যম দেখতে দেখতে বড় হয়, তারা প্রায়শই সহপাঠীদের প্রতিক্রিয়া জানানোর বেলায় অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে উঠছে। যা এইসব অনুসন্ধান থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
এই গবেষণার জন্য বাছাই করা হয়েছে উত্তর ক্যারোলাইনার গ্রামীণ এলাকার বিভিন্ন পাবলিক স্কুল থেকে একশ ৭০ জন শিক্ষার্থীকে। এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে গত তিনবছরের মধ্যে বলেও জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
গবেষণার শুরুতে, গবেষকরা পর্যবেক্ষণ করেন অংশগ্রহনকারীরা কতক্ষণ পরপর ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো বিভিন্ন জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমে প্রবেশ করছেন। দেখা গেছে, সামাজিক মাধ্যমে কারও প্রবেশের সংখ্যা দিনে একবারেরও কম, আবার কেউ কেউ দৈনিক ২০বারেরও বেশিবার প্রবেশ করেছেন।
এই গবেষণার আরেক সহ-লেখক মারিয়া মাজা বলেন, বেড়ে যাওয়া সংবেদনশীলতা ভবিষ্যতে সামাজিক মাধ্যমে বুঁদ হয়ে থাকায় উৎসাহিত করতে পারে সামাজিক প্রতিক্রিয়ার বেলায়ও।
যদিও বিজ্ঞানীরা বলছেন, সামাজিক প্ল্যাটফর্মের ‘লাইক’, ‘কমেন্ট’, ‘নোটিফিকেশন’ ও ‘মেসেজ’ সামাজিক প্রতিক্রিয়ার অপ্রত্যাশিত প্রবাহ তৈরি করে।
এর আগের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী কিশোর কিশোরীদের ৮০ শতাংশই ঘন্টায় অন্তত একবার নিজস্ব মোবাইল ডিভাইসে প্রবেশ করেন। আর তাদের ৩৫ শতাংশ শীর্ষ পাঁচ সামাজিক প্ল্যাটফর্মের অন্তত একটি প্রায় ক্রমাগতই ব্যবহার করছেন।
নতুন এই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ১২ থেকে ১৩ বছর বয়সীরা এই ধরনের প্ল্যাটফর্মগুলো বারবার ব্যবহারের কারণে সম্ভবত তিন বছরের মধ্যে তাদের মস্তিষ্ক বিকাশে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।
এ গবেষণায় আরও ছিলেন, আমেরিকান সাইকোলজিকাল অ্যাসোসিয়েশনের গবেষক ও এই গবেষণার আরেক লেখক মিচ প্রিনস্টিন ও কারা ফক্স।