টুইটার কিনেই একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন ইলন মাস্ক
টুইটার কিনে নিয়ে একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে চলছেন টুইটারের বর্তমান মালিক ইলন মাস্ক। মালিকানা বদলের চুক্তি সম্পন্ন হতেই পরাগ আগরওয়ালকে সিইও পদ থেকে সরানোর পরে ইলন এবার পুরো পরিচালনা পর্ষদকে ছাঁটাই করলেন। এখন মাস্ক একাই সংস্থার পরিচালক এবং সংস্থার যাবতীয় কাজ তিনি একাই করবেন।
ইলন মাস্কের টুইটার তার ব্লু সাবস্ক্রিপশনের জন্য ব্যবহারকারীদের ১৯.৯৯ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ হাজার ২৫ টাকা চার্জ করার পরিকল্পনা করছে।
আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ যে সব কর্মীরা এই প্রজেক্টে কাজ করছেন, তাদের এই ফিচারটি জলদি কার্যকর করার জন্য ৭ নভেম্বরের ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ডেডলাইন মিট করতে না পারলে ওই কর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।
মালিকানা বদলের চুক্তি হতেই সিইও, সিএফও এবং আইন বিভাগের প্রধানকে চাকরি থেকে বের করে দেন মাস্ক। শুধু তাই নয়, এই কর্তাদের নিরাপত্তারক্ষীদের পাহারায় টুইটারের অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে দাবি করা হয় একাধিক রিপোর্টে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব বাজারে তেলের দাম আরও কমল
জানা গিয়েছে, পরাগ আগরওয়ালকে চাকরি থেকে বের করায় ক্ষতিপূরণ বাবদ তাকে ৪২ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে মাস্ককে। পরাগের চাকরির চুক্তি অনুযায়ী, কোম্পানি বিক্রির ১২ মাসের মধ্যে যদি পরাগ আগরওয়ালকে ছাঁটাই করা হয়, তাহলে তাকে ৪২ মিলিয়ন ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটারকে কিনেছেন ইলন মাস্ক। এর আগে চলতি বছরের শুরুতেই টুইটারের ৯.২ শতাংশ মালিকানা কিনেছিলেন ইলন। টুইটারের বোর্ডেও ইলন যোগ দেবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু দিনকয়েক পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলেন ইলন। তারপর শেয়ারপিছু ৫৪.২ ডলারে টুইটার কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন টেসলার কর্ণধার। সেই দরেই টুইটার কেনা নিয়ে চুক্তি হলেও পরে পিছ পা হন মাস্ক। এই নিয়ে মাস্কের বিরুদ্ধে আদালতে যায় টুইটার। শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের মাঝে টুইটার কিনে নেন ইলন মাস্ক।