প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদানের সময় কেন কমানো দরকার?

  © সংগৃহীত

কিছুদিন আগে (২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, বুধবার) সিরডাপ মিলনায়তনে একটি বেসরকারি সংস্থার অনুষ্ঠানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সময়সূচি কমিয়ে আনতে চান এই মর্মে কথা বলেছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি সেদিন বলেন, নতুন রুটিন শিক্ষার্থীদের জন্য মানা সম্ভব নয়। দীর্ঘ সময় ধরে বাচ্চারা স্কুলে থাকতে চায় না। তেমনি শিক্ষকদের মানসিকতাও ঠিক রাখা কঠিন। তাই বিষয়টির দিকে নজর দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তিনি। এই ব্যাপারটি জেনে আমার খুব আনন্দ লেগেছে। আশা করি, খুব শীঘ্রই এ সংক্রান্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ে না বললেই নয়।

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা মূলত এই দেশীয় এবং পাশ্চাত্য শিক্ষাব্যবস্থা ও পদ্ধতির সম্মিলিত ফল। হাজার বছরের আর্য বা হিন্দু শিক্ষাব্যবস্থা, বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থা এবং সর্বশেষ মুসলিম শিক্ষাব্যবস্থার সংমিশ্রণ, এর সাথে রয়েছে পাশ্চাত্য শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামো। প্রকৃতপক্ষে ১৪৯৮ সালে ভাস্কো-দা-গামা কর্তৃক ভারতে আসার জলপথ আবিষ্কারের পর থেকেই এই উপমহাদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রচার ও প্রসার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কালক্রমে পর্তুগিজ, ওলন্দাজ, ফরাসি, দিনেমার এবং ইংরেজ মিশনারিগণ এদেশে শিক্ষা বিস্তারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। বর্তমানে বাংলাদেশে ৫-১০ বছর বয়সী শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা প্রচলিত রয়েছে। শিশু থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা স্তর হিসেবে গণ্য করা হয় এবং দেশের ৫ থেকে ১১ বছরের সব শিশুর জন্য এই শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে নির্ধারিত বয়সসীমা যাই থাকুক না কেন বাস্তবে বাংলাদেশে খুব সম্ভবত ৪/৫ বছর থেকে শুরু করে ১১/১২ বছর পর্যন্ত বয়সের ছেলে-মেয়েরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে বলেই আমার মনে হয়।

বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার সূচনা হয় ঔপনিবেশিক বৃটিশ শাসনামলে ১৯১৯ সালে, তবে তখন তা কেবল পৌর এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। ১৯৩০ সালে বেঙ্গল (রুরাল) প্রাইমারি এডুকেশন অ্যাক্ট প্রবর্তনের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে ৬-১১ বছরের ছেলেমেয়েদের জন্য শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত হয়। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা এবং ১৯৫৯ সালে শিশু অধিকারের ঘোষণায় প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করে। ১৯৭৪ সালে কুদরাত-এ-খুদা প্রণীত ‘বাংলাদেশ শিক্ষা কমিশন’ ১৯৮৩ সালের মধ্যে প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাকে সর্বজনীন, বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষার সুপারিশ করে। ১৯৮১ সালে পৃথক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় ২০১৫ সালের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষায় লিঙ্গবৈষম্যের অবসান ঘটানোর জন্য সব দেশ একমত হয়।

আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত প্রাথ‌মিক শিক্ষার স্তর হ‌লো শিশু শ্রে‌ণি থে‌কে পঞ্চম শ্রে‌ণি পর্যন্ত। এ স্ত‌রে শিশু‌দের শা‌রী‌রিক, মান‌সিক ও নৈ‌তিক মূল্য‌বো‌ধের বিকাশ ঘ‌টে। শিশুরা এ সময় বিশেষ করে মুক্ত প‌রি‌বে‌শে, প্রকৃ‌তি‌কে চেনা ও  অবাধ বিচর‌ণের মাধ্য‌মে এবং খেলার মাধ্য‌মে শিক্ষা গ্রহণ ক‌রে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘শিক্ষাসমস্যা’ প্রবন্ধে বলেছেন, “শিখিবার কালে, বাড়িয়া উঠিবার সময়ে, প্রকৃতির সহায়তা নিতান্তই চাই। গাছপালা, স্বচ্ছ আকাশ, মুক্ত বায়ু, নির্মল জলাশয়, উদার দৃশ্য– ইহারা বেঞ্চি এবং বোর্ড, পুঁথি এবং পরীক্ষার চেয়ে কম আবশ্যক নয়।” অথচ প্রাথ‌মিক শিক্ষার এই স্ত‌রে বি‌শেষ ক‌রে  সরকারি প্রাথ‌মিক বিদ্যালয়গু‌লো‌তে সকাল ৯ টা থে‌কে বিকেল ৪টা ১৫মিনিট পর্যন্ত (৭ঘন্টা) সময় শিশু‌দের বিদ্যাল‌য়ে অবস্থান কর‌তে হয়। মাঝখানে বিরতি মাত্র ৩০ মি‌নিট। (এর মধ্যে কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিফট থাকলেও শিক্ষকদের থাকা আবশ্যক) এতো দীর্ঘ সময় ধরা-বাঁধা নিয়‌মের ম‌ধ্যে থে‌কে কীভা‌বে শিশু‌দের দৈহিক বা মান‌সিক  বিকাশ ঘট‌তে পা‌রে?

তবে আশার কথা হলো, অনেক দিন ধরেই আমাদের দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সময়সূচি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইনবক্সে একাধিক শিক্ষক এ ব্যাপারে প্রায় কাছাকাছি মতামত দিয়েছেন। তাদের ক্লান্তি ও পড়ানোর একঘেয়েমির কথা তারা আমায় জানিয়েছেন বলে আমি এই লেখাটি লিখছি; তা কিন্তু নয়। আমি এই লেখাটি এ জন্যই লিখছি যে, এতো দীর্ঘ সময় আসলেই স্কুলে থাকা কতোটা দরকার বা অপ্রয়োজন তা আমাদের জানা উচিত। আর সেটা নিয়ে কথা বলার তাগিদ অনুভব করছি বেশ কদিন ধরে।

আমাদের দেশের বেশির ভাগ ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক মনে করেন, দীর্ঘ সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর জন্য উপযোগী নয়। এর কারণটি একেবারে ঝেড়ে ফেলার মতো নয়। যুক্তি হলো, দীর্ঘ সময় স্কুলে থাকার কারণে ছাত্রদের খিদে পায়, শরীর দুর্বল হয়, আর সেজন্য পড়া মনে থাকে না। এরপর কর্তৃপক্ষ তাদের দুপুরের খাবার (মিড-ডে মিল) দেওয়ার মত দিলেন। সব স্কুলে সেটি সম্ভব নয়। তাই খুব সম্ভবত কোনো কোনো স্কুলে এই ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে সব স্কুলে সেটির যথাযথ ব্যবস্থা কতোখানি কঠিন তা সহজেই অনুমেয়।

বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার ছয়টি আবশ্যকীয় বিষয় হলো বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, প্রাথমিক বিজ্ঞান, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা। এছাড়া প্রতিদিন সমাবেশ, কাব স্কাউট, শরীরচর্চা, সংগীত, চারুকারু স্কুলে শেখানো হয়। প্রতিদিন একটানা এসব বিষয় হয়তো পড়ানো হয় না, হয়তো রুটিন করে পড়ানো হয়। যদি তা না হয়, যদি সব প্রতিদিন পড়ানো হয় তবে তা শিশুর জন্য বোঝাস্বরূপ। আর দীর্ঘ সময় ধরে চাপে থাকলে তাদের মানসিকতা কেমন হতে পারে?

এ নিয়ে মনোবিজ্ঞানীরা কী বলেন তা দেখি এবার। তাঁরা বলেন, যেসব শিশু ছোটবেলায় বেশি চাপে থাকে, তারা বড় হয়ে বাস্তব পরিবেশ-পরিস্থিতির চাপ মানিয়ে নিতে সমস্যায় পড়ে। এদেশের প্রায় সব বিদ্যালয়ে বই–খাতার ভার আছে, শিক্ষকের শাসন আছে, কিন্তু সকল স্কুলে খেলার মাঠ নেই। আবার এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে, গ্রামাঞ্চলের বিশেষ করে গরিব পরিবারের শিশুরা মা-বাবাকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে থাকে। যেমন— কৃষিকাজ, বাজার করা, রান্নার কাজ, কুটিরশিল্প তৈরি, দোকানের হিসাব রাখা ইত্যাদি। দীর্ঘ সময় বিদ্যালয়ে থাকতে হলে তারা তাদের পরিবারকে এই সহযোগিতাটুকু করতে পারবে না এটাই স্বাভাবিক। তাতে করে স্কুল থেকে ঝরে পড়ার সম্ভাবনা যে বাড়তে পারে, তা কিন্তু ঠিক!

আমরা সবাই বা অনেকেই বলে থাকি, শিক্ষকদের চাকরি আসলে কথা বলার চাকরি। একথা মিথ্যে নয়। আমাদের দেশের শিক্ষকদের স্কুলে একটানা অনেক সময় ধরে কথা বলতে হয়। যদিও এখন শিখন শেখানো কার্যাবলি শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক, তারপরও মূল কাজ এবং নির্দেশনা শিক্ষকদেরই করতে হয়। ফলে বেশি কথা বলতে হয়ই। আর বেশিরভাগ স্কুলে শিক্ষক কম থাকায় কোনো শিক্ষকের বসে থাকার সুযোগ নেই। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বে কণ্ঠনালি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন যারা বেশি কথা বলেন তারা। পেশাগতভাবে এঁদের অনেকেই হোন শিক্ষক, গায়ক বা বক্তা। আমরা যখন কথা বলি, কণ্ঠনালির সঙ্গে আশপাশে অবস্থিত মাংসপেশিরও সাহায্য লাগে। কণ্ঠনালিকে সঠিক ও নিয়মের বাইরে ব্যবহার করা, অতি উচ্চস্বরে, অতিরিক্ত কথা বলা, দীর্ঘমেয়াদি বা পরিবর্তিত স্বরে কথা বললে কণ্ঠনালির প্রদাহ দেখা দিতে পারে, যা ভারী জিনিসকে ঠিকভাবে না ওঠানোর জন্য পিঠে ব্যথা হওয়ার মতো। গলা ও শব্দযন্ত্রের মাংসপেশির সংকোচন এবং কথা বলার সময় ঠিকভাবে শ্বাস না নিলে শ্বাসযন্ত্রের অবসাদ হয়, কথা বলতে কষ্ট হয়। বারবার বা দীর্ঘমেয়াদি কণ্ঠনালির অপব্যবহারে যে ক্ষতি হয় পরবর্তী সময়ে তা কণ্ঠনালির কম্পনের মাত্রার ওপর প্রভাব ফেলে এবং কণ্ঠনালিতে পলিপ, নডিউল বা সিস্ট হতে পারে। নডিউল সাধারণত শিক্ষক, কণ্ঠশিল্পী, রাজনীতিবিদ,  আইনজীবী, অধিক সন্তানের মা, হকারদের মধ্যে হতে পারে। প্রতিদিন এই ঝুঁকি দীর্ঘ সময় ধরেই কিন্তু আমাদের শিক্ষকরা নিয়ে থাকেন।

এখন প্রশ্ন হলো, কেমন সময়সূচি আমাদের দেশের শিশু শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের জন্য ভালো হবে? আমার মতে সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত করা যায়। আরেকটি ব্যাপার হলো, যেহেতু বেশির ভাগ শিক্ষক নারী; তাই তাদের সন্তানদের সময় দেয়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখানে ভাবা উচিত। আর প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণি সকাল ৯টা থেকে ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্তই যথেষ্ট। তাছাড়া যেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০ এর কম, ওই বিদ্যালয়গুলো এক শিফট এবং ২০০ থেকে বেশি হলে দুই শিফট করা যেতে পারে। আর বৃহস্পতিবার হাফ স্কুলের দরকার নেই। হাফ স্কুল আবার কী?

প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি আরো গুরুত্ব দেওয়া ছাড়া এখন আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই। কারণ প্রাথমিক শিক্ষা হলো শিক্ষাস্তরের প্রথম ধাপ। ভিত্তি যদি শক্ত না হয়, তাহলে বিল্ডিংয়ে ধস নামার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তাই কার্যকর ও উন্নয়নমূলক শিক্ষাব্যবস্থার স্বার্থেই সুষ্ঠু ও সময়োপযোগী প্রাথমিক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত অনিবার্য হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, আফ্রিকার দরিদ্র দেশের তুলনায় আমাদের দেশে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ অনেক কম। এমনকি সার্কভুক্ত দেশ নেপাল, ভুটানে যেখানে শিক্ষা খাতে মোট বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেখানে বাংলাদেশে বাজেটের ১১ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ আরো বেশি। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়ে এগিয়ে রয়েছে মালদ্বীপ। এমনকি দেশটির জাতীয় আয়ের ৭ শতাংশই শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হয়।

শিক্ষা প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার। অশিক্ষিত ব্যক্তিমাত্রই সমাজের জন্য বোঝাস্বরূপ। শিক্ষা ছাড়া একটি জাতির উন্নতি কল্পনাও করা যায় না। একটি জাতিকে উন্নতির ক্রমবর্ধমান পথে ধাবিত হতে গেলে ও চূড়ায় পৌঁছাতে হলে শিক্ষা ছাড়া অন্য গত্যন্তর নেই। তবে জাতীয় উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রাথমিক শিক্ষা। একটা ভালো বীজ থেকেই সম্ভব একটা গাছ মহীরূহ হয়ে ওঠা, তেমনি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা জাতির ভবিষ্যৎ গঠন ও উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। প্রাথমিক শিক্ষাই হলো শিক্ষাব্যবস্থার বীজ। যথাযথ শিক্ষার মাধ্যমেই সামাজিক জীবনে মানবিকতা ও মূল্যবোধের বিকাশ ঘটানো সম্ভব; যার মাধ্যমে মানুষের জীবনে নানাবিধ উন্নতি সাধিত হয়। এই উন্নতিসাধন এবং সামাজিক সুযোগ-সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়। সুতরাং প্রাথমিক স্তরে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান এবং এ খাতে বরাদ্দ সর্বোচ্চ করার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটানো সম্ভব। আর এটিই হতে পারে একটি শতভাগ শিক্ষিত ও আত্মনির্ভরশীল জাতি গঠনের মূলমন্ত্র।

লেখক: কবি ও গবেষক

 


সর্বশেষ সংবাদ