বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনালী ভবিষ্যৎ

বেরোবির সহযোগী অধ্যাপক ড. ইলিয়াছ প্রামানিক
বেরোবির সহযোগী অধ্যাপক ড. ইলিয়াছ প্রামানিক  © সংগৃহীত

২০০৮ সালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাত ধরে উত্তরের প্রান্তরে উদিত হলো রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) আকাশে এক নতুন সূর্য। ভাড়া জায়গায় যাত্রা শুরু করে, অনেক বাধা পেরিয়ে, আজ বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থায়ী ক্যাম্পাসের বুকে দাঁড়িয়ে আছে। পরিকল্পনা ছিল ২০১৮ সালের মধ্যে এখানে ১৫টি একাডেমিক ভবন একটি ১০ তলাবিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন, আটটি হল, ১৪টি কোয়ার্টার, ছয়টি ডরমিটরি, একটি জিমনেসিয়াম ও একটি অডিটোরিয়াম নির্মিত হবে। কিন্তু ২০২৪ সালের প্রান্তে এসে এই স্বপ্নের আকাশে মেঘ জমেছে। কারণ সেই স্বপ্নের এক-তৃতীয়াংশও পূরণ হয়নি। অথচ একই সময়ে যাত্রা শুরু করা পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি আজ অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেকটাই সমৃদ্ধ।

বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পের স্বর্ণযুগে (২০১২-১৮) অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় শত  শত কোটি টাকার বরাদ্দ পেয়েছে। অথচ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়টি সে সময়েও কোন অর্থ বরাদ্দ পায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়টি বঞ্চিত হয়েছে, বরাদ্দ না পাওয়ার পেছনে সরকারের বিমাতা সুলভ আচরণ যেমন দায়ী, তেমনি দায়ী উপাচার্যদের উদাসীনতা ও অযোগ্যতা। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শহীদ আবু সাইদের আত্মত্যাগে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী অহিংস আন্দোলনটি এক আগ্নেয়গিরির মতো বিস্ফোরিত হয়। এই আন্দোলনের ফলস্বরূপ পাঁচ শতাধিক মানুষের জীবন হারানোর মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে পালিয়ে যান। 

শপথ গ্রহণের পরপরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা রংপুরে এসে শহীদ আবু সাইদের কবর জিয়ারত করে শ্রদ্ধা জানান। সেই সফরে তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন এবং সেখানে আবু সাইদের সহযোদ্ধা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন। ছাত্ররা প্রধান উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরলেন তাঁদের আট দফা দাবি, যে সেই দাবি শুধু কাগজের অক্ষর নয় বরং তাঁদের হৃদয়ের রক্তমাখা প্রতিজ্ঞা।

এ আন্দোলনের জয় হলো, আর সেই জয়ের সিঁড়িতে উঠে এলো রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের স্বপ্ন। দেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আন্দোলনের নেতারা বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেন। শপথ গ্রহণের পরপরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা রংপুরে এসে শহীদ আবু সাইদের কবর জিয়ারত করে শ্রদ্ধা জানান। সেই সফরে তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন এবং সেখানে আবু সাইদের সহযোদ্ধা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন। ছাত্ররা প্রধান উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরলেন তাঁদের আট দফা দাবি, যে সেই দাবি শুধু কাগজের অক্ষর নয় বরং তাঁদের হৃদয়ের রক্তমাখা প্রতিজ্ঞা। সেই প্রতিজ্ঞায় যেন ফুটে ওঠে একটি নতুন স্বপ্নের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রধান উপদেষ্টা সমীপে শিক্ষার্থীদের প্রথম দাবি ছিল যে, উপাচার্য দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করবেন এবং একজন যোগ্য ও মেরুদণ্ডবিশিষ্ট ব্যক্তি তার স্থলাভিষিক্ত হবে। তবে দাবি পেশের আগেই উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু ক্ষমা চাননি। তবে এটা সত্য যে, আগের উপাচার্যদের ছিল না কোনো জবাবদিহিতা, ছিল না কোনো দায়িত্ববোধ। তাদের শাসনে শিক্ষার মন্দিরে বেজে উঠেছে সেচ্ছাচারিতার সুর। এজন্য তারা একজন যোগ্য উপাচার্য চেয়েছেন, যিনি আওয়ামী লীগ শাসনামলে নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্যদের মত হবেন না। আগের প্রত্যেক উপাচার্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি রেখেছিলেন দায়বদ্ধতার চেয়ে অবহেলার বন্ধন। 

আগের উপাচার্যদের মধ্যে দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতার যে অভাব ছিল, তা শিক্ষার এই পবিত্র স্থানে সেচ্ছাচারিতার বিষবৃক্ষ হয়ে বেড়ে উঠেছিল। তাঁদের শাসনে এই প্রতিষ্ঠান বয়ে বেড়িয়েছে অবহেলার বোঝা, আর সেই বোঝা আরও ভারী করেছে প্রশাসনের দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষকরা। ফলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের সাথে সম্পৃক্ত সব ব্যাক্তির পদত্যাগের জোরালো দাবি করেছেন। পরপর চারটি ব্যর্থ ও দুর্নীতিবাজ উপাচার্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুদণ্ডেই ভেঙ্গে দিয়েছে। এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষার্থীরা, হতাশ হয়েছে উত্তরাঞ্ছলের মানুষ- যারা এই প্রতিষ্ঠানটির জন্য দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। 

আগের উপাচার্যদের মধ্যে দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতার যে অভাব ছিল, তা শিক্ষার এই পবিত্র স্থানে সেচ্ছাচারিতার বিষবৃক্ষ হয়ে বেড়ে উঠেছিল। তাঁদের শাসনে এই প্রতিষ্ঠান বয়ে বেড়িয়েছে অবহেলার বোঝা, আর সেই বোঝা আরও ভারী করেছে প্রশাসনের দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষকরা। ফলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের সাথে সম্পৃক্ত সব ব্যাক্তির পদত্যাগের জোরালো দাবি করেছেন। পরপর চারটি ব্যর্থ ও দুর্নীতিবাজ উপাচার্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুদণ্ডেই ভেঙ্গে দিয়েছে।

শিক্ষার্থীদের পরবর্তী দাবিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ছাত্র, শিক্ষক, ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লেজুরবৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে সুষ্ঠু নেতৃত্ব চর্চা ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন গঠনের জন্য দ্রুত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা। তাঁদের এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১১ আগস্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গনে সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হলো। হয়তো এটা একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ, তবে এভাবে ছাত্র রাজনীতি শৃঙ্খলায় আনা সম্ভব হলেও, শিক্ষকদের রাজনীতি কি থামানো যাবে? শিক্ষকদের অধিকাংশই সরাসরি জাতীয় রাজনীতির পথে হাঁটেন না, তবে তাঁদের মধ্যে আদর্শিক জোট গড়ে ওঠে, লাল, নীল, সাদা, হলুদ রঙের ছোঁয়ায়। 

নিষিদ্ধের পর, এ পরিচিত রংগুলো ফিকে হয়ে গেলেও, তাঁরা হয়তো পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কিংবা দোয়েল, ময়না, টিয়া নামে নতুন আদর্শের বুননে একত্রিত হবেন। আদর্শের চর্চা তো বন্ধ করা যায় না, জোটবদ্ধ হওয়ার পথও রোধ করা অসম্ভব। লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধের মানে আদর্শের চর্চা থামানো নয়, বরং রাজনীতির নামে কদর্যতা দূর করা। সে ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অ্যাকাডেমিমুখী করতেই হবে।

অনেকেই বলে থাকেন, বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকরা কোনো ধরনের রাজনীতিতে যুক্ত হন না—এই কথাটি সম্পূর্ণ সত্য। তবে প্রশ্ন ওঠে, কেন এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা রাজনীতি থেকে দূরে থাকেন? উল্লেখযোগ্য যে, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য কোনো আইন প্রণয়ন করা হয়নি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ নয়, নেই কোনো কঠোর আইন, তবুও শিক্ষকেরা থাকেন স্বতঃস্ফূর্ত, নির্লিপ্ত, রাজনীতির কোলাহল থেকে মুক্ত। প্রথমত, তাদের বিশ্বাস, রাজনীতি তাঁদের কাজ নয়; এই দায়িত্ব পালন করার জন্য রাজনীতিবিদরা আছেন। 

দ্বিতীয়ত, তারা তাদের উপর অর্পিত একাডেমিক দায়িত্ব পালনেই বদ্ধপরিকর। বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকরা গবেষণা ও ফান্ডিংয়ের নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে নিবেদিত থাকেন, যা অর্জন করতে না পারলে তাদের চাকরি থাকে না। চেয়ার প্রফেসর ব্যতীত অধিকাংশ শিক্ষকের চাকরি স্থায়ী নয়। আমাদের দেশে যদি এমন একটি ব্যবস্থা চালু করা যেত, তবে শিক্ষকদের রাজনীতি করার সময়ই থাকত না। শিক্ষাঙ্গনে এমনিতেই শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ হয়ে যেত। কিন্তু, যদি একজন শিক্ষক রাজনীতি করেই মানসম্মত গবেষণা ও ডিগ্রি ছাড়াই সবকিছু অর্জন করতে পারেন, তবে তিনি কেন রাজনীতি ছেড়ে দেবেন? 

যদি এ দেশে এমন আইন প্রণয়ন করা হয় যে, পিএইচডি ডিগ্রি এবং কিউ ওয়ানের জার্নালে প্রথম লেখক হিসেবে প্রকাশনা ছাড়া কেউ সহকারী অধ্যাপক হতে পারবেন না; তেমনি কিউ ওয়ানের দুটি ও তিনটি জার্নালে প্রথম লেখক হিসেবে প্রকাশনা ছাড়া যথাক্রমে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক হওয়া সম্ভব হবে না—তাহলে শিক্ষকদের মধ্যে গবেষণা মুখী হওয়ার প্রবণতা বাড়বে এবং রাজনীতি বিমুখ হবে। 

অন্যদিকে, যদি ভালো গবেষণা করার জন্য পদোন্নতিতে রেয়াত ও প্রণোদনা প্রদান করা হয়, তাহলে শিক্ষকরা আরও বেশি গবেষণার প্রতি মনোনিবেশ করবেন। এসব কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। কেবলমাত্র চিঠি দিয়ে রাজনীতি বন্ধের চেষ্টা কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ হতে পারে না। যখন রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়টি সামনে এসেছে, তখন আমাদের গতানুগতিক ধারাগুলোরও সংস্কার হওয়া উচিত। এই সংস্কারই হবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার নতুন ভিত্তি, যেখানে জ্ঞানের স্রোতে ভাসবে জাতির ভবিষ্যৎ। 

পরবর্তী দুটি দাবিতে ছিল শহীদ আবু সাঈদের প্রসঙ্গ। শহীদ আবু সাঈদের রক্তে ভেজা বেরোবির মাটি আজও ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় অপেক্ষমাণ। তাঁর নামে ক্যাম্পাসে কিছু স্থাপনা নির্মাণের দাবি শুধু একটি প্রতীকী উদ্যোগ নয়, এটি এক জীবন্ত ইতিহাসের অঙ্গীকার। এই দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন এমন একজন উপাচার্য, যিনি ফ্যাসিস্ট প্রভাবমুক্ত, যিনি সত্যের জন্য লড়াই করতে পিছপা হবেন না। আবু সাঈদের যে ত্যাগ, তা কোনো সাধারণ আন্দোলনের ফল নয়; এটি ছিল আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে এক অকল্পনীয় সংগ্রাম। আবু সাঈদের হত্যার পেছনে যারা ছিল, তারা সবাই একটি বিশেষ রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী এবং তাদের বিচার করতে হলে প্রয়োজন এক শক্ত মেরুদণ্ডের উপাচার্য।

আরো পড়ুন: ইউজিসির চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় তিন অধ্যাপক

সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য হলের আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে বরাদ্দ নিশ্চিত করা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি মৌলিক ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দাবি। পূর্বে ছাত্রলীগের প্রভাবের ফলে প্রভোস্টরা বাধ্য হয়ে সিট বরাদ্দের প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অনুমোদন দিয়েছেন, যার ফলে শিক্ষার্থী ও হল প্রশাসন উভয়েই একপ্রকার জিম্মি অবস্থায় ছিলেন।

এ সাংস্কৃতিক অনিয়ম থেকে বেরিয়ে আসার জন্য, শিক্ষার্থীরা মেধাভিত্তিক সিট বরাদ্দের ওপর জোর দিচ্ছে এবং তারা হলের সিট নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চায়। সর্বোপরি, শিক্ষার্থীরা একটি সুন্দর, নিরাপদ এবং শিক্ষার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে চায়। তবে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত শিক্ষার্থীরা যেন নিজেদের ন্যায়ের মশাল নিয়ে পথচলা ভুলে না যায়। তারা যে আলো নিয়ে জেগেছে, তা যেন কোনোভাবেই অনিয়মের আঁধারে ঢেকে না যায়। যদি তারা সিট বরাদ্দে অনিয়মের পথে পা বাড়ায়, তবে সেই পথ তাদেরকে অনিবার্য এক অন্ধকারে নিয়ে যাবে, যেখানে সম্ভাবনার সব আলো নিভে যাবে, স্বপ্নগুলো ভেঙে পড়বে আর গন্তব্য হবে শুধুই অজানা এক বিপর্যয়। 

নিজেদের আদর্শের প্রহরী হয়ে উঠতে না পারলে, ভবিষ্যৎ তাদের জন্য হবে নিষ্ঠুর এবং অবশ্যম্ভাবী এক দুর্ভাগ্যের কালো অধ্যায়। এজন্য অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হলে কতটুকু সংস্কার প্রয়োজন। আমরা যদি যৌক্তিক সংস্কারের  লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করি, তবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শুধু রংপুর নয়, সারা দেশের জন্য শিক্ষার মডেল হয়ে উঠতে পারবে। এজন্য প্রয়োজন সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এবং একটি সুশৃঙ্খল ও একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাঠামো, যা আমাদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে সহায়ক হবে।
 
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।


সর্বশেষ সংবাদ