২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:২৫
ইডেনে নোংরামি বন্ধ না করে গণহারে বহিষ্কার কোনো সমাধান না
অর্থ লেনদেনের একটা কথা যেহেতু এসেছে, সেহেতু এটা খতিয়ে দেখেন। প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেন। যা রটে তার কিছু না কিছু ঘটে। নোংরামি বন্ধ না করে গণহারে বহিষ্কার করা কোনো সমাধান না। সিট বাণিজ্য যদি হয়ে থাকে তবে সেটা বন্ধ করতে সমস্যা কোথায়? মেয়েদের নগ্ন করে ছবি তোলার একটা অভিযোগ এসেছে। এটা আরো আগেও শোনা গেছে, প্রমাণিত না। কেমন একটা গা শিউরে উঠার মত একটা ঘটনা!
এই কলেজে আমার ছোট বোনও তো থাকতে পারে। একবার ভাবেন তো! মাননীয় নেত্রীর ক্যাম্পাস ইডেন কলেজ। এর ঐতিহ্য আছে, ইতিহাস আছে, দেশের জন্য এই কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের অবদান অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। কেন শুধু শুধু এই কলেজের গায়ে কাঁদা মারতেসেন?
এটা কেন হয় বলেন তো? এই কর্মীগুলো রাজনীতি করতেই আসে স্বার্থের জন্য। যখনই স্বার্থে আঘাত লাগে তখনই আন্দোলনে নামে। ছাত্রলীগের কাজই হচ্ছে শেখ হাসিনার স্বার্থ রক্ষা করা, ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রদের অধিকার রক্ষা করা। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন শোষিতের পাশে থেকেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য কথা বলতে যেয়ে জেল খেটেছেন। কিন্তু আমরা কি করছি! আমরা কি তার আদর্শের পথে আছি!
নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করেন। যার আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতে আসছেন তার ছবিরে পারাইতেসেন। এই যে দলের বদনাম করতেসেন, দল ক্ষমতায় না থাকলে কই যাবেন? কেউ তো পাঁচটা টাকা দিয়াও জিজ্ঞেস করব না। এইসব ছাড়েন। আর কথায় কথায় বহিষ্কার ,স্থগিত, অনুপ্রবেশকারী এই শব্দ গুলা বইলা নিজেদের হাইস্যকর বানাইয়েন না।
লেখক: সদস্য, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় কমিটি
(ফেসবুক থেকে নেওয়া)