সেসিপের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেওয়া হতে পারে চলতি সপ্তাহে

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ  © ফাইল ছবি

সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) প্রকল্পে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র চলতি সপ্তাহে দেওয়া হতে পারে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর প্রার্থীদের সুপারিশপত্র দিতে কাজ করে যাচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

এনটিআরসিএ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেসিপের ভোকেশনাল কর্মসূচির আওতায় দুইটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৫৯১ জন প্রার্থীকে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়। এই প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দিতে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সোনা মনি চাকমা স্বাক্ষরিত নির্দেশনাটি এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ে পাঠানো হয়। নির্দেশনা পাওয়ার পর প্রার্থীদের চূড়ান্ত নিয়োগপত্র দিতে কাজ করছে এনটিআরসিএ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সেসিপের প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে চূড়ান্ত নিয়োগপত্র দিতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেয়েছি। আমরা প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দিতে কাজ করে যাচ্ছি।

কবে নাগাদ প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেওয়া হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি ঈদের আগেই যেন প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দিতে পারি। সে লক্ষ্যেই কাজ করা হচ্ছে। তবে ঈদের ছুটি শুরু হতে আর তিনদিন বাকি রয়েছে। তাই আমাদের কাজ শেষ নাও হতে পারে। কাজ শেষ না হলে ঈদের পর প্রার্থীদের সুপারিশপত্র দেওয়া হবে।

এদিকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা জারির পরও চূড়ান্ত সুপারিশপত্র না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন
প্রাথমিক সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা। ঈদের আগেই চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

সেসিপ ট্রেড ইন্সট্রাক্টর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বলেন, যোগদান করার তারিখের সময়সীমা মে মাসের মধ্যে নির্ধারণ করে সেসিপের চুড়ান্ত সুপারিশপত্র ঈদের আগেই দিতে হবে। কেননা আমরা দীর্ঘ আট মাস ধরে চূড়ান্ত সুপারিশপত্রের অপেক্ষায় আছি।