‘টাকা চাইলে এনটিআরসিএতে লিখিত অভিযোগ দিন’
অবশেষে চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছেন তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির ৩৪ হাজারেরও বেশি শিক্ষকরা। নিয়ম অনুযায়ী এসব শিক্ষকের সরাসরি স্কুল-কলেজে যোগ দেয়ার কথা। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ এতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ফলে যোগ্যতা ও সরকারের নির্দেশনার পরও কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদানে হোঁচট খাচ্ছেন এসব শিক্ষক।
তারা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেয়ার পরও ম্যানেজিং কমিটি সাড়া দিচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে যোগদান করতে ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকাও দাবি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সদস্য (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন) এ বি এম শওকত ইকবাল শাহীন বলেছেন, শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তদের কাছে যোগদানপত্র দিতে টাকা চাওয়া হলে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিন। অভিযোগ পেলে যারা টাকা চাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে ধোঁয়াশায় নিবন্ধনধারীরা
এ বি এম শওকত ইকবাল শাহীন বলেন, প্রার্থীদের যোগদান করতে কোনো টাকা লাগে না। তবে অনেক স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ প্রার্থীদের কাছে টাকা দাবি করছেন বলে অভিযোগ আসছে আমাদের কাছে। এসব মৌখিকভাবে আমাদের জানানো হচ্ছে। কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ না পেলে আমরা কীভাবে ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, প্রার্থীরা নিজেদের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে। তাদের চাকরির সুপারিশ করেছে সরকার। এখানে প্রতিষ্ঠান প্রধান টাকা চাইতে পারে না। আমি প্রার্থীদের অনুরোধ করবো যারা এ ধরনের সমস্যায় পড়েছেন তারা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করুন। আমরা এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন: মহিলা কোটায় পুরুষ প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে চায় এনটিআরসিএ
তথ্যমতে, গত বছরের ৩০ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। বিভিন্ন নিবন্ধনের রিটকারীদের জন্য ২ হাজার ২০০টি পদ সংরক্ষণ করে বাকি পদগুলোতে নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়।
আবেদন না পাওয়ায় এবং মহিলা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ১৫ হাজাত ৩২৫টি পদ বাদ রেখে ৩৮ হাজার ২৮৬ জনকে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়। সুপারিশ প্রাপ্তদের মধ্যে ৪ হাজার প্রার্থী ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করে না পাঠানোয় ৩৪ হাজার ৭৩ জনকে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেয়া হয়। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রার্থীরা যোগদান করতে পারবেন।