তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে দ্বিতীয় ধাপে সুযোগ ২৭ ফেব্রুয়ারির পর
তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেও বাদ পড়া প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপে সুযোগ দেবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারির পর দ্বিতীয় ধাপে সুযোগপ্রাপ্তদের নিয়ে কাজ শুরু করবে এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকৃতদের মধ্যে চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থীর যোগদান কার্যক্রম চলছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের যোগদান চলবে। এছাড়া মহিলা কোটায় সুপারিশপ্রাপ্ত কিছু প্রার্থীর যোগদান সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে কাজ করা হবে।
সূত্রের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মহিলা কোটার প্রার্থীদের যোগদান সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে কাজ শেষ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। এরপর তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেও যারা প্রথম ধাপে সুযোগ পায়নি তাদের দ্বিতীয় ধাপে সুযোগ দেয়ার বিষয়ে কাজ শুরু করা হবে। মার্চের শুরুতে দ্বিতীয় ধাপের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: তীব্র সেশনজটের হতাশায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর আত্মহত্যা
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সদস্য (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন) এ বি এম শওকত ইকবাল শাহীন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির দ্বিতীয় ধাপের বিষয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারির পর কাজ শুরু করা হবে। কেননা ২০ তারিখ পর্যন্ত যোগদানের সময় বেধে দেওয়া আছে। এরপর আমাদের কিছু কাজ আছে। সেটি ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হবে। এটি শেষ হলেই দ্বিতীয় ধাপে সুপারিশ দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে।
দ্বিতীয় ধাপে কারা সুযোগ পাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে এ বি এম শওকত ইকবাল শাহীন আরও বলেন, যারা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেছেন কেবলমাত্র তারাই সুযোগ পাবেন। এর বাইরে অন্য কাউকে সুযোগ দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন: বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন তৃতীয়তে সুপারিশপ্রাপ্তরা
তথ্যমতে, গত বছরের ৩০ মার্চ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্যপদের বিপরীতে ৪ এপ্রিল থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। ১-১২তম নিবন্ধনের রিটকারীদের জন্য দুই হাজার ২০০টি পদ সংরক্ষণ করে ৫১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেয় এনটিআরসিএ।
তবে ৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি মহিলা কোটা পদে মহিলা প্রার্থী না থাকায় মোট ১৫ হাজার ৩২৫টি পদে বাকি রেখে ৩৮ হাজার ২৮৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার প্রার্থী ভি রোল ফরম পূরণ করে না পাঠানোয় ৩৪ হাজার ৭৩ জনকে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়।