১৯ অক্টোবর ২০২১, ১২:০২

দ্বিতীয় ধাপে সুযোগ পাবেন তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকৃতরা

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ  © ফাইল ফটো

তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেও বাদ পড়া নিবন্ধনধারীদের দ্বিতীয় ধাপে সুযোগ দেবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদ পূরণে করতে এই সুযোগ দেওয়া হবে।

এনটিআরসিএ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণ করতে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ৩৮ হাজার জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। তাদের মধ্যে ৬ হাজার প্রার্থী পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করে না পাঠানোয় প্রায় ২২ হাজার পদ শূন্যই রয়ে গেছে।

সূত্র জানায়, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্তরা যোগদান শেষে শূন্যপদের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করবে এনটিআরসিএ। সেই পদগুলো ‍তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদকৃতদের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা মৌখিকভাবে সম্মতিও দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমরা শূন্যপদ পূরণ করতে চাই। সেটি কীভাবে করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এটি সময় সাপেক্ষ। তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ প্রাপ্তদের যোগদান শেষ হলে আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করবো।

আরও পড়ুন: ১৭তম নিবন্ধন নিয়ে যা বললেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান

শূন্যপদ পূরণে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের যুক্ত করা হবে কিনা জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, যারা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেছেন কেবল তারাই এই সুযোগ পাবেন। এখানে ১৬তম নিবন্ধনধারীদের যুক্ত করার সুযোগ নেই।

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান

তথ্যমতে, চলতি বছরের ৩০ মার্চ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্যপদের বিপরীতে ৪ এপ্রিল থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। ১-১২তম নিবন্ধনের রিটকারীদের জন্য দুই হাজার ২০০টি পদ সংরক্ষণ করে ৫১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেয় এনটিআরসিএ।

তবে ৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি মহিলা কোটা পদে মহিলা প্রার্থী না থাকায় মোট ১৫ হাজার ৩২৫টি পদে বাকি রেখে ৩৮ হাজার ২৮৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে ৬ হাজার ৩ জন ভি রোল ফরম পূরণ করে না পাঠানোয় ৩২ হাজার ২৮৩ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে।