রায়ে যেসব নিবন্ধনধারী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে
রিটকারী আড়াই হাজার নিবন্ধনধারীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগদানের সুপারিশের বিষয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গতকাল সোমবার (২৮ জুন) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) বিরুদ্ধে জারি করা আদালত অবমাননার রুল খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
এর ফলে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তির ফল জারি করতে আর কোনো বাধা নেই এনটিআরসিএ’র। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করা হবে বলে এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, বহুল কাঙ্খিত রায়ের পর চলছে কয়েকলাখ নিবন্ধনধারী নিয়োগপ্রত্যাশীদের শেষ মুহুর্তের হিসাবে-নিকাশ। এখন তারা রয়েছেন গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশের অপেক্ষায়। এই রায়ে এসব নিবন্ধনধারীদের কোন সমস্যা হবে না জানিয়ে তারা বলছেন, আমরা গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছি।
গতকাল সোমবারের রায়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবে না জানিয়ে তারা জানান, যাদের বয়স ৩৫ বছর শেষ হয়ে গেছে এবং যাদের মার্কস তুলনামূকভাবে কম তারাই মূলত এই রায়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ১-১২তম নিবন্ধনধারীদের থেকে এদের কয়েকজন মূলত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আইনের আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু ঠিকই তারা হেরে গেলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই গণবিজ্ঞপ্তির ফল
এ বিষয়ে আবুল কালাম আজাদ নামে ১০ম নিবন্ধনধারী এক নিয়োগপ্রত্যাশী বলেন, ১-১২তম নিবন্ধনধারী সংখ্যা আড়াই হাজার হলেও মূলত কয়েকজনে মিলে এই রিটটা করেছিল। এটার সঙ্গে গুটিকয়েকের সম্পৃক্ততা ছিল। তাই রায়ের পর আমরা বিষয়টি নিয়ে অতটা চিন্তিত নয়। আমরা এখন ফল প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছি।
৩য় তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক নিয়োগ ফোরামের সভাপতি শান্ত আহমেদ বলেন, রায়ের সঙ্গে আমাদের কোন সর্ম্পক নেই। আমরা চাই দ্রুত গণবিজ্ঞপ্তির ফল জারি করুক এনটিআরসিএ।
তথ্য মতে, গত ৩০ মার্চ শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। ৫৪ হাজার ৩০৪টি শুন্যপদের বিপরীতে এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১টি শূন্যপদের মধ্যে ২৬ হাজার ৮৩৮টি এমপিওভুক্ত পদ। মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের সংখ্যা ২০ হাজার ৯৯৬টি যার মধ্যে ১৯ হাজার ১৫৪টি এমপিওভুক্ত পদ।
পরে গত মের শুরুতে আবেদন শেষ হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে প্রায় ৯০ লাখ। সে হিসাবে একটি পদের জন্য ১৬০ জনের বেশি আবেদনও জমা পড়েছে।