শিক্ষক নিয়োগ: পদপ্রতি ৭৮ আবেদন

  © লোগো

সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদের বিপরীতে প্রায় ৩১ লাখ আবেদন করেছে চাকরি প্রত্যাশীরা। ফলে আসনপ্রতি আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৭৮টি। মেধা তালিকায় প্রথম থেকে ১৪তম নিবন্ধনধারী প্রায় ৭ লাখ প্রার্থী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একাধিক পদে আবেদন করেন। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে এ তথ্য জানা যায়।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার (২ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয় অনলাইন আবেদন যা গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়। এরআগে মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৫ লাখ আবেদন হলেও বুধবার আবেদনের শেষ দিনে আরোও ৬ লাখ আবেদন জমা পড়েছে। ফলে মোট আবেদন জমা পড়ে ৩১ লাখ। 

এনটিআরসিএর গণ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সারাদেশে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট ৩৯ হাজার ৫৩৫ পদ শূন্য আছে। ১ম থেকে ১৪তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়োগপ্রত্যাশীদের এসব পদের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আবেদন করতে বলা হয়। প্রাপ্ত আবেদন জাতীয় মেধার ভিত্তিতে বাছাইপূর্বক বিধি মোতাবেক প্রতিটি পদের বিপরীতে চূড়ান্তভাবে একজন করে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে। এরপর নির্বাচিতদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিকে মোবাইল ফোনে এসএমএস করে নির্বাচিতদের তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে।

অভিযোগ রয়েছে, এনটিআরসিএর পদ্ধতিগত দূর্বলতার জন্য একজন প্রার্থীকে একটি চাকরির জন্য কয়েকডজন আবেদন করতে হয়েছে। প্রতিটি আবেদনে কমপক্ষে ১৮০ টাকা খরচ হওয়ায় আবেদনকারীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। টাকার পরিমাণ কমানোর জন্য তারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। ৩১ লাখ আবেদন জমা নিয়ে কর্তৃপক্ষের প্রায় ৫৬ কোটি টাকা আয় করবে।

একটি মহল নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে মন্তব্য করে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান আশফাক হুসেন বলেন, ‘মামলা করে কেউ কেউ এ নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করার পাঁয়তারা করছে। মামলা করলে চাকরি নিশ্চিত পাওয়া যাবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এরাই নানা রকম গুজব ছড়িয়ে আবেদনের সময় বৃদ্ধি করার দাবি তুলছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রাপ্ত আবেদনগুলো জাতীয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে বাছাইপূর্বক বিধি মোতাবেক প্রতিটি পদের বিপরীতে একজন করে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করে তাদের নিয়োগে সুপারিশ করা হবে। এরপর নির্বাচিতদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিকে মোবাইল ফোনে ও লিখিতভাবে নির্বাচিত প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেয়া হবে। এছাড়াও এসএমএস করে নির্বাচিত প্রার্থীকে এ তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে।’

 


সর্বশেষ সংবাদ