স্কুল-কলেজের নতুন শিক্ষকদের যোগদান থেকেই বেতন, মাদ্রাসা-কারিগরিতে নয়
পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশ পেয়ে বিভিন্ন বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের নতুন শিক্ষকরা যোগদানের মাস থেকেই বেতন বা এমপিও পাবেন। স্কুল-কলেজের বিদ্যমান এমপিও নীতিমালার এ নির্দেশনা রয়েছে। তবে মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের নতুন শিক্ষকদের সে সুযোগ নেই। মাদ্রাসা ও কারিগরির এমপিও নীতিমালায় এ বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করা হলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। বেসরকারি স্কুল-কলেজের নতুন শিক্ষকরা যোগদানের পর এমপিওভুক্ত হতে দেরি হলেও যোগদান করার মাসের বেতন বকেয়া বাবদ পাবেন।
এর আগে চতুর্থ ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে যোগদান করা শিক্ষকরা যোগদানের মাস থেকেই বেতন পেয়েছেন। যাদের এমপিওর আবেদন করতে কয়েকমাস সময় লেগেছিলো বকেয়ার আবেদন করে তারাও যোগদান থেকে বেতন পেয়েছিলেন। যদিও বেসরকারি স্কুল-কলেজের যোগদান থেকে বেতন পাওয়া ও মাদ্রাসা-কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সে সুযোগ না পাওয়াকে অনেকে বৈষম্য বলে পূর্ববর্তী সময়ে আখ্যায়িত করেছেন।
আরও পড়ুন : নতুন শিক্ষকদের যোগদানে ঘুষ চাইলে যা করতে হবে
২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ মার্চ বেসরকারি স্কুল-কলেজের নতুন এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। নীতিমালার ১৭.৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে এমপিও পদে যোগদানকৃত শিক্ষক-প্রদর্শকের একাডেমিক সার্টিফিকেট, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, নিবন্ধন ও সুপারিশ যথাযথ থাকলে এবং অতীতে অপরাধমূলক বা বিরূপ কোনো রেকর্ড না থাকলে ও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে তাদের এমপিওভুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদানপত্র গৃহীতের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
এদিকে স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালায় যোগদান থেকে বেতনের ঘোষণা থাকলেও মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের এমপিও নীতিমালায় এ ঘোষণা আসেনি।
আরও পড়ুন : ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি: নতুন শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিতে যেসব কাগজপত্র লাগবে
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, মাদ্রাসার এমপিও নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হলে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বিষয়টি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল। নতুন নীতিমালায় বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংশোধিত নীতিমালাটি এখনও জারি হয়নি।
আরও পড়ুন : ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি: যে কারণে বাদ পড়লেন আড়াই হাজার প্রার্থী
৯৬ হাজারের বেশি শিক্ষক শূন্য পদ পূরণে জারি করা পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ২২ হাজার ৩৩ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থীকে গত বুধবার নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ নির্ধারিত ওয়েবসাইট থেকে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সময় ব্যবহৃত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে সুপারিশপত্র ডাউনলোড করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে হবে। প্রার্থীদের আগামী ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যোগদান করতে বলেছে এনটিআরসিএ।