নিবন্ধনধারীদের রেখে যেখানে ‘আত্মগোপনে’ ছিলেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান

এনটিআরসিএ’র কনফারেন্স রুমে ১৩ ও ১৪তম নিবন্ধনধারীরা
এনটিআরসিএ’র কনফারেন্স রুমে ১৩ ও ১৪তম নিবন্ধনধারীরা  © টিডিসি ফটো

১৩তম ও ১৪তম নিবন্ধনধারীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৩০ মিনিট সময় নিয়েছিলেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহিল আজম। তবে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও তিনি তার রুমে ফিরে আসেননি। এনটিআরসিএ’র অধস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রেখে সটকে পড়েন তিনি।

এনটিআরসিএ’র একাধিক সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান। এরপর তিনি আন্দোলনকারীদের এনটিআরসিএ’র অফিসে যাওয়ার আহবান জানান। নিবন্ধনধারীরা এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ে যাওয়ার পর সুযোগ বুঝে বোরাক টাওয়ারে অবস্থিত প্রতিযোগিতা কমিশনে যান এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান-সচিব। সেখানেই দীর্ঘক্ষণ ছিলেন তারা।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএ’র এক কর্মচারী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, বেলা ৩টা পর্যন্ত চেয়ারম্যান-সচিব প্রতিযোগিতা কমিশনে ছিলেন। আমাদের এনটিআরসিএ’র অফিসে রেখে তাদের এভাবে গা ঢাকা দেওয়া মেনে নেওয়ার মতো না। নিবন্ধনধারীরা আমাদের জিম্মি করে রেখেছিল। পরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আমরা কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সুযোগ পাই।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়োগের দাবিতে এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন ১৩তম ও ১৪তম নিবন্ধনধারীরা। পরে তারা এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ে অবস্থান করেন। সেখানে অবস্থান শেষে বিকাল ৪টার দিকে নিবন্ধনধারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রা করেন।


সর্বশেষ সংবাদ