ঈদের আগেই হতে পারে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি ঈদের আগেই প্রকাশের পরিকল্পনা করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে শূন্য পদের চাহিদা সংগ্রহ করার প্রস্তুতিও শুরু করা হয়েছে।
এনটিআরসিএ’র একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের নিয়ে নতুন করে জাতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর প্রতিষ্ঠানের তথ্য হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু হতে পারে। সবশেষ শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এজন্য দ্রুত সব কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএ’র শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান শাখার এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক সংকট রয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাদের ফোন করে শিক্ষক সংকটের কথা জানাচ্ছেন। এছাড়া ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অনেকেরই বয়স শেষের দিকে। সবকিছু বিবেচনা করে ঈদের আগেই ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: টেলিটকের সঙ্গে এনটিআরসিএ’র সভায় যে সিদ্ধান্ত হলো
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সচিব ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘৫ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। কিছু তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। তবে তা পুনরায় সংগ্রহ করা হবে। শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ শেষ ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। রোজার মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারলে ঈদের আগেই ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।’
জানা গেছে, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট দূর করতে প্রতিবছর তিনবার শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে এনটিআরসিএ। এটি বাস্তবায়ন হলে তিনবার শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করে তিনবার নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে এনটিআরসিএ।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সচিব ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘শিক্ষক সংকট দূর করতে আমরা প্রতিবছর তিনবার শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এটি বাস্তবায়ন হলে প্রতিবছর তিনটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তখন আর শিক্ষক সংকট থাকবে না।’