যে কারণে চূড়ান্ত সুপারিশ পেলেন না সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:২০ AM , আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:২০ AM
বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিকভাবে ৩২ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল। তবে চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছেন ২৭ হাজার ৭৪ জন। বাদ পড়েছেন প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক।
বিপুল সংখ্যক প্রার্থী চূড়ান্ত সুপারিশ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা৷ তারা বলছন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে অসংখ্য প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। আবেদনকৃতদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়। এরপরও চূড়ান্ত সুপারিশ থেকে বাদ পড়ার বিষয়টি বোধগম্য নয়।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বলছে, প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের বড় একটি অংশ পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করেননি। এছড়া কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকাসহ বেশ কিছু কারণে এই প্রার্থীরা বাদ পড়েছন।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। আবেদনগ্রহণ শেষে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৩২ হাজার ৪৮০ জনকে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়। পরবর্তীতে প্রার্থীদের অনলাইনে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম জমা দিতে হয়েছে। গতকাল ২৭ হাজার ৭৪ জন নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়।
এনটিআরসিএর একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে ৩ হাজার ৬০৭জন পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ভিআর ফরম পূরণ না করায় তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়নি। অবশিষ্ট ১ হাজার ৭৯৯ জনের মধ্যে জাল সনদ, কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা, বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করা, নিবন্ধন সনদ না থাকা সত্ত্বেও ভুল পদে আবেদন করা, মামলার স্থগিতাদেশ থাকার কারণে নিয়োগ সুপারিশ করা সম্ভব হয় নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএর শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান শাখার এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ভি-রোল ফরম পূরণ সংক্রান্ত কারণেই অধিকাংশ প্রার্থী বাদ পড়েছেন। ফাযিলে তৃতীয় বিভাগ, জাল সনদসহ নানা কারণে অন্যদের সুপারিশ ক্রা সম্ভব হয়নি। আমরা চেষ্টা করেছি নির্ভুলভাবে সুপারিশ করতে।
এদিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে যোগদান করতে বলেছে এনটিআরসিএ।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, সুপারিশপত্র ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে প্রার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১৯ অক্টোবরের মধ্যে যোগদান করতে হবে। সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের যোগদানে বাধা দিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুপারিশকৃত ২৭ হাজার ৭৪ জন প্রার্থীর মধ্যে,কলেজ ও স্কুলে ১৩ হাজার ৭০৫, মাদরাসায় ১১ হাজার ২৭৯, কারিগরিতে ৫১৬, সংযুক্ত স্কুলে ১ হাজার ৫৮৩, সংযুক্ত মাদরাসায় ৬২১ জন রয়েছেন। সুপারিশকৃত ২৭ হাজার ৭৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ১৯২, মহিলা ৮ হাজার ৮৮২। মহিলা কোটায় নির্বাচিত ৬ হাজার ১৭৬ জন।