চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি
মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকেও সুপারিশ না পাওয়া ৭৭ প্রার্থীর কপাল খুলছে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৩, ০৪:২৪ PM , আপডেট: ০৬ জুন ২০২৩, ০৪:২৪ PM
শিক্ষক নিবন্ধনের জাতীয় মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকেও চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ না পাওয়া ৭৭ জনকে সুপারিশ করতে যাচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। ইতোমধ্যে ৫৫ জনকে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করে মেসেজ পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মেধাক্রম, পছন্দক্রম ও প্রতিষ্ঠানের চাহিদার ভিত্তিতে চলতি বছরের ১২ মার্চ ৩২ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নিয়োগের প্রাথমিকভাবে প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়। সুপারিশের পর থেকেই শতাধিক চাকরিপ্রার্থী মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকে চাকরির সুপারিশ পাননি বলে অভিযোগ জানান।
প্রার্থীদের এসব অভিযোগ নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভুক্তভোগীরা এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরবর্তীতে প্রার্থীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রথমবারের মতো ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। ইনডেক্সধারীদের বাদ দেওয়ার জন্য তাদের রোলগুলো ব্লক করে রাখা হয়।তবে ইনডেক্সধারীদের সাথে নিবন্ধনধারীদের রোল নম্বর মিলে যাওয়ায় ফ্রেশারদের রোলগুলোও ব্লক হয়ে যায়। এর ফলে অনেকেই চাকরির সুপারিশ পাননি।
মেধাতালিকায় এগিয়ে নিয়োগেরে প্রাথমিক সুপারিশ না পাওয়া ৭৭ জনের তালিকা তৈরি করেছে এনটিআরসিএ। এদের মধ্যে শূন্য পদ থাকা সাপেক্ষে ৫৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এসব প্রার্থীকে এসএমএস এর মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের সাথে রোল মিলে যাওয়ায় যোগ্যতা থাকার পরও ৭৭ জন সুপারিশ পাননি। আমরা তাদের নিয়োগের সুপারিশ করবো। ইতোমধ্যে ৫৩ জনের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ২৪ জনের পদ সংরক্ষণ করা হয়েছে। শূন্য পদ প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাদেরকে পরবর্তীতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, যাদের নাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে তাদের আগামী ১৬ জুনের মধ্যে অনলাইনে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ ভি-রোল ফরম জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে না।