ইনডেক্সধারীদের রিট নিয়ে যা বলছে এনটিআরসিএ

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ  © ফাইল ফটাে

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। একই সাথে ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ সাময়িক স্থগিতের সিদ্ধান্ত ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

এদিকে আদালতের দেওয়া আদেশের কপি এখনো হাতে পায়নি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। সোমবার (৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রায়ের কপি এনটিআরসিএ কার্যালয়ে পৌঁছায়নি।

এনটিআরসিএ’র সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, রুল জারির বিষয়টি গণমাধ্যমের মাধ্যমে তারা জেনেছেন। তবে কাগজপত্র এখনো হাতে পাননি। রায়ের সম্পূর্ণ ডকুমেন্টস তারা পর্যবেক্ষণ করবেন। এরপর আদালতে নিজেদের জবাব দেবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএ’র এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। এখানে এনটিআরসিএ’র করণীয় কিছু নেই। তবুও আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে রুলের জবাব দেবেন তারা। রুলের কাগজপত্র পাওয়ার পর বৈঠক করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।

এ প্রসঙ্গে এনটিআরসিএ’র উপপরিচালক (আইন ও আইসিটি) মো. সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আদালতের রায়ের কাগজপত্র এখনো আমরা পাইনি। এটি পাওয়ার পর এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করা হবে।

এর আগে গতকাল রোববার ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ রহিত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। বিচারপতি জাফর আহমেদ এবং বিচারপতি মো. বশিরুল্লাহ’র বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রুলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান, এনটিআরসিএ সচিব ছাড়াও বেশ কয়েকজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মনিরুজ্জুমান আসাদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। পরিপত্রে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের সমপদে আবেদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হয়। এই পরিপত্র অনুযায়ী প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা আবেদন করে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করেছেন।

তিনি বলেন, ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় আরেকটি পরিপত্র জারি করে। সেখানে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের সমপদে আবেদনের সুযোগ সাময়িক স্থগিত করা হয়। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির ১২ নম্বর পয়েন্টে একই বিষয়টি পুনরায় উল্লেখ করা হয়। মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র এবং চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির  এই দুটি বিষয়ের ওপর আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

ব্যারিস্টার মনিরুজ্জুমান আসাদ আরও বলেন, ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ বন্ধের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। এর ফলে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীদের আবেদনের ক্ষেত্রে আর কোনো বাঁধা থাকল না।


সর্বশেষ সংবাদ