আবেদনের সুযোগ চেয়ে ফের এনটিআরসিএতে স্মারকলিপি দিল ১৬তম ইনডেক্সধারীরা

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ  © ফাইল ফটাে

মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ চেয়ে আবারও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ১৬তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (মানোন্নয়নকারী) ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা। 

বুধবার (৭ ডিসেম্বর)  ১৬ তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (মানোন্নয়নকারী) ইনডেক্সধারী শিক্ষক ফোরাম’’ এর পক্ষে মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. জাফর ইকবাল, এবং মো. আব্দুস সালাম, মো. কামরুজ্জামান এবং মো. মানিক মিয়া মানিক মিয়া এই স্মারকলিপি জমা দেন।

স্মারকলিপিতে শিক্ষকরা জানান, ‘‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রতিবছর শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাতালিকা তৈরি করে দক্ষ, যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষকদের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণবিজ্ঞভির মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ করে আসছে যা সর্ব মহলে ব্যাপক প্রশংসিত। কারণ শিক্ষায় জাতির মেরুদণ্ড । সেজন্য চাই দক্ষ, যোগ্য, সৎ ও আদর্শবান মেধাবী শিক্ষক।

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার ৭.০ নং অনুচ্ছেদের কার্যকারিতা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। এর ফলে আমরা ১৬ তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (মানোন্নয়নকারী) অনূর্ধ্ব পঁয়ত্রিশ (৩৫) ইনডেক্সধারী মেধাবী শিক্ষকগণ আসন্ন চতুর্থ গণবিজ্ঞতিতে আবেদনের সুযোগ পাব কিনা বিষয়ে চরম হতাশা ও অনিশ্চয়তায় পড়েছি।’’

ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা জানান, ‘‘আমরা পূর্ববর্তী (১২,১৩,১৪,১৫ তম) নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদে এমপিভুক্তি ও ইনডেক্স নম্বর পেলেও সর্বশেষ ১৬ তম নিবন্ধন পরীক্ষায় মানোন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের মার্ক অনেক বেড়েছে এবং মেরিট পজিশনে ও আমরা অনেক এগিয়ে রয়েছি। আমরা ১৬ তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (মানোন্নয়নকারী) অনূর্ধ্ব পঁয়ত্রিশ (৩৫) ইনডেক্সধারী শিক্ষকগণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে যে কোন শর্ত সাপেক্ষে ১৬তম নিবন্ধন সনদ দিয়ে অন্তত একবার আসন্ন চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ চাই।’’

তারা জানান, ‘‘আমরা সর্বশেষ ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ দিয়ে একটি গণবিজ্ঞতিতেও আবেদনের সুযোগ পাই নি। এমনকি তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতেও আবেদনের সুযোগ পাইনি। করোনা-লকডাউন ও নানা কারণে দীর্ঘ ৪ বছর অপেক্ষা করেছি। এত কিছুর পরও এত কষ্টে অর্জিত আমাদের এ ১৬ তম সনদে আবেদন করতে না পারলে এ সনদ আমাদের কী কাজে আসবে আর এর মূল্যই বা কী? আমরা বহু কষ্টে অর্জিত এ মানোন্নয়নকারী সনদ দিয়ে এক বারের জন্য হলেও গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ চাই।’’

শিক্ষকরা বলেন,  ‘‘মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি লাভের সাংবিধানিক অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত। দক্ষ, যোগ্য, সৎ ও আদর্শবান মেধাবী শিক্ষক জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আমরা মনে করি শিক্ষকতার মত মহান পেশায় যারা মেরিটে এগিয়ে থাকবে তাদের আগে সাংবিধানিক অধিকার বলে চাকরি লাভের অগ্রাধিকার রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য চাকরির ন্যায় শিক্ষকতা পেশায় ও বিভাগীয়-অভিজ্ঞ প্রার্থী হিসেবে আমরা অগ্রাধিকার আশা করতেই পারি। তবুও আমরা ইনডেক্সধারী ১৬ নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষকরা পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা ও ইনক্রিমেন্ট বাতিল করে সম্পূর্ণ নতুন হিসেবে যে কোন শর্ত সাপেক্ষে আমাদেরকে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করছি।’’

এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে তারা আরও জানান, ‘‘আমরা নিজ এলাকা থেকে অনেক দূরবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বল্পবেতনে খুব মানবেতর জীবনযাপন করছি। সর্বোপরি আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো এগিয়ে নিতে আমাদের অসহায়ত্ব বিবেচনা পূর্বক মেধা, যোগ্যতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে আমাদের ১৬ তম নিবন্ধন সনদধারী (ইনডেক্সধারী) অনূর্ধ্ব পঁয়ত্রিশ (৩৫) বছর বয়সী সকলকে যে কোন শর্ত সাপেক্ষে আসন্ন চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে অন্তত একবার আবেদনের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান শিক্ষকরা।’’

শিক্ষকদের দাবীগুলো হলো-
১। ১৬তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (মানোন্নয়নকারী) অনূর্ধ্ব পঁয়ত্রিশ (৩৫) সকল ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ চাই।
২। প্রয়োজনে যে কোন শর্ত সাপেক্ষে আমাদের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ দিতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ