বঙ্গবন্ধু হত্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও জড়িত ছিলেন: ঢাবিতে হানিফ

মাহববুল আলম হানিফ

শুধু কিছু বিপথগামী সেনা কর্মকর্তাই নন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও জড়িত ছিলেন বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ। 

আজ শুক্রবার অ্যালামনাই ফ্লোরে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। 

মাহাবুবুল আলম হানিফ বলেন, কর্ণেল ফারুক নিজে বিবিসিতে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ১৯৭৫ সালের মার্চ ও এপ্রিলে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তিনি দুদফা বৈঠক করেন। বৈঠকে জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, ‘আমি একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, আমি এটা করতে পারি না। তবে তোমরা যদি করতে পারো, তবে গো অ্যাহেড। আমি তোমাদের সঙ্গে আছি।’ জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে জড়িত নাই থাকতেন তাহলে হত্যাকারীদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি আইন কেন করেছিলেন?’

আরও পড়ুন: ‘ভাইয়ের সঙ্গে হ্যান্ডশেকের সময় বামহাত পেছনে রাখতে হবে’—হল ছাত্রলীগের ১৪ নির্দেশনা

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ।

উপাচার্য বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের এক ঘৃণ্য দিন। এই দিনে সাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা এবং কতিপয় পথভ্রষ্ট সেনাসদস্য একত্রিত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাস এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিকে মুছে ফেলে পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশকে পিছিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে সেদিন ঘাতকরা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল। দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের গতিকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি অপশক্তি এখনও তৎপর। এই অপশক্তিকে প্রতিহত করে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

এতে সময় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার রকিবুল হাসান, ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, সাবেক মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধু, শেখ কামাল, শেখ হাসিনাসহ মুজিব পরিবারের সঙ্গে তাদের বিভিন্ন স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।