হ্যালো নয়, ফোন ধরে বলতে হবে ‘বন্দে মাতরম’

ফোন তুলে আর ‘হ্যালো’ বলা যাবে না। তার জায়গায় বলতে হবে ‘বন্দে মাতরম’। ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বছর পূর্তিতে নতুন এই নির্দেশনা জারি করেছে মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার। রবিবার রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি এমন নির্দেশ জারি করা হয়েছে। 

গতকালই রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করেন। সুধীর পেয়েছেন রাজ্যের সংস্কৃতিবিষয়ক দপ্তরের দায়িত্ব।

দপ্তর পাওয়ার পর টুইট করেন সুধীর। তিনি বলেন, সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের প্রত্যেক অধিবাসী ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি তাঁর প্রথম আহ্বান হলো, ‘হ্যালো’র পরিবর্তে ‘বন্দে মাতরম’ দিয়ে কথা বলা শুরু করা।

সুধীর বলেন, ভারতের স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে এখন থেকে মহারাষ্ট্র সরকারের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোনে ‘হ্যালো’র বদলে ‘বন্দে মাতরম’ দিয়ে কথা বলা শুরু করবেন।

‘হ্যালো’র পরিবর্তে ‘বন্দে মাতরম’ দিয়ে কথা বলা শুরু করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানিয়েছেন সুধীর। এ বিষয়ে রাজ্য সরকার শিগগির নির্দেশনা জারি করবে।

আরও পড়ুন: শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার: নেপথ্যে টাকা-পয়সা নিয়ে ঝগড়া?

সুধীর বলেন, ‘হ্যালো’ একটি বিদেশি শব্দ। এ শব্দ পরিত্যাগ করা উচিত। অন্যদিকে ‘বন্দে মাতরম’ কোনো শব্দ নয়, এটি প্রত্যেক ভারতীয়র অনুভূতি।

উল্লেখ্য, একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্রে নয়া সরকার আসার পর মুঙ্গান্তিওয়ার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। সদ্য মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন একনাথ শিণ্ডে। আর সেই মন্ত্রিসভার হাত ধরেই এ মন্ত্রণালয় পেয়েছেন মুঙ্গান্তি।

শিণ্ডের মন্ত্রিসভায় ১৮ জন মন্ত্রী জায়গা পেয়েছেন। এরপর পাঁচ দিন পরই মন্ত্রীদের মন্ত্রণালয় বণ্টন করে দেন একনাথ শিণ্ডে। জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। এ ছাড়াও আইন বিভাগ রয়েছে ফড়নবীশের দায়িত্বে। জলসম্পদ, গৃহ নির্মাণ শক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ও ফড়নবীশের দায়িত্বে রয়েছে। বিজেপি নেতা রামকৃষ্ণ বিকে পাটিল পেয়েছেন রেভিনিউ ডিপার্টমেন্ট। শিণ্ডে নিজে ধরে রেখেছেন নগরোন্নয়ন মন্ত্রণালয়।