গুচ্ছে ওএমআর বাতিল হওয়াদের নিয়ে যা বললেন জবি ভিসি

ওএমআর
অধ্যাপক ইমদাদুল হক ও জবি লোগো

গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এক হাজার ৫৫১ জন ভর্তিচ্ছুর খাতা বাতিল করা হয়েছে।

এক হাজার ৫৫১ জন ভর্তিচ্ছুর মধ্যে ৩ জন ভর্তিচ্ছু বহিষ্কার হয়েছেন। এছাড়া রোল নম্বর এররের (Error) কারণে ২৯ ভর্তিচ্ছু এবং সেট/সাবজেক্ট কোড এররের জন্য এক হাজার ৫১৯ জনের খাতা বাতিল করা হয়েছে। 

এই শিক্ষার্থীদের বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস কথা বলেছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হকের সাথে।

তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার ওএমআর শিটে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই পালনীয় হিসেবে কিছু নির্দেশনা দেওয়া ছিল। ওএমআর শিট ভালোভাবে পড়ে নির্দেশাগুলো মানাও একটি পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় অনেক শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। তারা ওএমআর শিটের নির্দেশনা ঠিকভাবে মানেনি। সেজন্য তাদের খাতা বাতিল করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাবিতে কোন বিভাগে কত আসন কমছে?

যাদের ওএমআর বাতিল করা হয়েছে তাদের ওএমআর ঠিক করার সুযোগ দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, কেউ পরীক্ষায় ফেল করলে তাকে কি আর পাস করিয়ে দেওয়া হয়? যাদের খাতা বাতিল হয়েছে তাদের আবারও সুযোগ দেওয়া হলে অন্যরাও একই ধরনের সুযোগ দাবি করতে পারে। বিষয়টি নিয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে। সেজন্য এ বিষয়ে কিছু ভাবছি না। ২০ আগস্টের পর গুচ্ছ কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

গুচ্ছের ‘ক’ ইউনিটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১১ হাজার ৭১৬টি আসন রয়েছে। এক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় ৮৫ হাজার ৫৮২ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হলেও মোট ১১ হাজার ৭১৬ জন ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। সেই হিসেবে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ৭৩ হাজার ৮৬৬ জন ভর্তিচ্ছু গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন না। 

‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলে ৩০ নম্বরের সমান ও বেশি নম্বর পেয়েছেন ৫৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। এছাড়া ৩০ এর নিচে নম্বর পেয়ে ৬৬ হাজার ৭১১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন।