হ্যাকিং করে কোটি টাকা আত্মসাৎ করল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাসেল

রাশেদুল ইসলাম রাসেল

ভারতের ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের টিকিট বিক্রির কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্য একজন রাশেদুল ইসলাম রাসেল (৩২)। তিনি ঢাকার নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ পাসের পর বর্তমানে এমবিএ করছেন।

তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা সদরের মাজম মোড়ে। বেলকুচির সচ্ছল তাঁত ব্যবসায়ী নুরুল আমিন শেখের বড় ছেলে তিনি। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বেলকুচির শ্যাম কিশোর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ঢাকার কমার্স কলেজ থেকে এইসএসসি  পাশ করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। 

এরপর পড়াশুনা শেষ না করতেই রেনেসাঁ এভিয়েশন সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মী হিসেবে চাকরি শুরু করেন রাসেল। তারপর চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঢাকার আবদুল্লাহ আল নোমান মিরাজকে পার্টনার নিয়ে এয়ারলাইনসের টিকিট বিক্রির এজেন্ট ব্যবসা শুরু করেন রাসেল। অল্প দিনেই তাদের উন্নতি বেশ চোখে পড়ার মতো। ঈদের আগে ৪০ লাখ টাকা দিয়ে নতুন প্রাইভেট কার কিনেছেন রাসেল।

ঈদের দুদিন পর ওই গাড়ি নিয়ে বেলকুচিতে বেড়াতেও আসেন রাসেল। গাড়ি দেখেই তার পিতা তাঁত ব্যবসায়ী নুরুল আমিন শেখের সন্দেহ হয়। ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের টিকিট হ্যাকিংয়ের কোটি টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগে মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) গত মঙ্গলবার বেলকুচির রাশেদুল ইসলাম রাসেল ও আবদুল্লাহ মিরাজকে ঢাকার পল্টন থেকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার সেই খবরটি শুনে বাবা নুরুল আমিন জানলেন, তার ছেলে একজন বড় ধরনের প্রতারক।

আরও পড়ুন: গণিত মানুষকে প্রতিবন্ধী করে তোলে: জাহ্নবী

জানা যায়, চার-পাঁচ মাস আগে বাবার কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা ধার নিলেও ঈদের আগে সেটি পরিশোধ করেছেন রাসেল। বেলকুচিতে প্রতিবেশী শান্ত ও বাবলু নামে দু’জনকে ঢাকায় এয়ারলাইন্স কাজের সহযোগিতার জন্য নিয়ে যান রাসেল। শান্ত কিছুদিন পর চলে আসলেও বাবলু এখনও তার সাথে রয়েছেন। বেলকুচির জিধুরীর বাবলু শেখ আগে আদম পেশায় ছিলেন।

আরও জানা যায়, রাসেলের বাবা নুরুল আমিন সম্প্রতি বাড়িতে পাঁচতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে ভবন নির্মাণের কাজও শুরু করেছেন। এ প্রসঙ্গে নুরুল আমিন বলেন, ছেলে ধারের টাকাই শোধ করেনি, বাড়ি নির্মাণে ছেলে টাকা দেবে? নিজেই অল্প অল্প করে শুরু করেছি।