সিলেটের ৮০ ভাগ এলাকা বন্যা কবলিত

সিলেটে বন্যা

আষাঢ়ে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ।  বন্যা কবলিতদের উদ্ধারে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী।

সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়ক তলিয়ে যাওয়ায় সারা দেশের সঙ্গে এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সিলেটের শতকরা ৮০ ভাগ এলাকা এখন বন্যা কবলিত।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, উপশহরসহ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুতের সাব স্টেশন ডুবে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। জীবন বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটতে দেখা গেছে মানুষজনকে। পানিবন্দি মানুষজনকে উদ্ধার অভিযানে রয়েছে সেনাবাহিনীর কয়েকটি ইউনিট। সুনামগঞ্জ পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বিদ্যুৎ নেই। তাই মোবাইলে চার্জও নেই। কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ঘরের ভেতর পানিতে সয়লাব। চুলা জ্বালানোর উপায় নেই। তাই রান্নাও করা যাচ্ছে না। অসহায় এবং দুর্বিসহ মানবেতর সময় পার করছেন এই অঞ্চলের বন্যা কবলিত মানুষেরা। 

আরও পড়ুন: ঘরের হাঁটু পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু

এছাড়াও দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে শেরপুরের ঝিনাইগাতি ও নলিতাবাড়ি জুড়েও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এ এলাকাগুলোর ওপর দিয়ে প্রবাহিত কয়েকটি নদীর পানি বেড়ে বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার আশরাফুল ইসলাম জানান, গতকালের (শুক্রবার) তুলনায় আজ পানির উচ্চতা আরও বেড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বন্যার পানি কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা একমাত্র আল্লাহ জানেন।

আলাপকালে জৈন্তাপুর উপজেলার শাহেদ হাতিমি বলেন, টানা বৃষ্টিতে গত রাতে আমার ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। অনেক আসবাবপত্র পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সারারাত খাটের উপরে বসে নির্ঘুম অবস্থায় কাটিয়েছি। যত সময় যাচ্ছে পানি বাড়ছে। পানি খুব দ্রুত বাড়ছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ চৌধুরী জানান, সোমবারের (২০ জুন) আগে বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা নেই। এভাবে টানা বর্ষণ অব্যাহত থাকলে পানি স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। অন্যদিকে উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।