সাধারণ ও প্রযুক্তির জায়গা হবে ৫০-৬০ একর, কৃষির ২০০: শিক্ষামন্ত্রী

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী

কোন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় কি পরিমাণ জায়গা নিয়ে গড়ে উঠতে পারে সে সম্পর্কে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এজন্য তিনি একটি নির্দিষ্ট আয়তনের কথাও জানান। বুধবার (১১ মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্যে ৫০-৬০ একরের বেশি জায়গার প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্যে ২০০ একরের মতো হলেই চলবে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৬ সালে ১৫ একর জমি নিয়ে ময়মনসিংহ জেলা থেকে ২২ কিলোমিটার দূরত্বে ত্রিশাল উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নামাপাড়া নামক স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ছয়টি অনুষদের অধীনে ২৪টি বিভাগে প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন।

তথ্যমতে, আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় হলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। চবির আয়তন ১৭৫৪ একর। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ৭৫৩ একর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৬৯৭.৫৪ একর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৬০০ একর, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৩২০ একর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ১০৬ একর ও বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৭৬.৮৫ একর জায়গায় অবস্থিত।

আরও পড়ুন: সার্টিফিকেট নিয়ে সরকারের সঙ্গে একমত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়: ভিসি

১৫ একরের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম দিবস উদযাপন বুধবার (১১ মে) শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে এদিন বেলা ১টায় ক্যাম্পাসে পৌঁছান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি ৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৭তম দিবসের দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনের প্রথম পর্ব সোমবার (৯ মে) শেষ হয়। এদিন সকালে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তলনের মধ্যদিয়ে দিবসটি শুরু হয়। আনন্দ র‍্যালী ও কেক কেটে শেষ হয় প্রথম পর্ব।

দ্বিতীয় পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. কাউসার আহাম্মদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মো. জালাল উদ্দিন।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি স্মার্ট বিশ্বমানের ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলব। শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন নিয়ে বর্তমান সরকারের যে অভিযাত্রা সেই অভিযাত্রা শামিল হয়ে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করবো। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হবে।