ঈদের আগে কাজগুলো গুছিয়ে রেখেছেন তো?

ঢাবি
ঈদ উদযাপন

ঈদ আরবি শব্দ, এর আভিধানিক অর্থ একের পর এক, যা বার বার আসে। ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে হই-উল্লাস। দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদ। তবে ব্যস্ততার কারণে ঈদের আগে কিছু কাজ গুছিয়ে নিতে আমরা অনেকেই ভুলে যাই। জেনে নেওয়া যাক, সেইসব বিষয়গুলো যা ঈদের আগে গুছিয়ে নেওয়া দরকার। 

যাকাত: যাকাত মানে পবিত্র করা, পরিশুদ্ধ করা বা প্রবৃদ্ধি দান। কোনো মুসলমান নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে ও এক বছর পর্যন্ত সে ব্যক্তির নিকটে থাকলে তাকে নির্ধারিত পরিমাণ অংশ হকদারের নিকটে পৌঁছে দেওয়াকে যাকাত বলে। তবে সুনির্ধারিত অংশটুকু শরিয়ত অনুযায়ী আদায় করা না হলে, গোটা সম্পদই মুমিনের জন্যে হারাম হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আমরা অনেকেই যাকাত আদায়ের ব্যাপারে ভুল করে ফেলি এবং ঈদের আগে তাড়াতাড়ি হিসাব ছাড়াই যাকাত আদায় করে নেই। এজন্য আগেই থেকেই যাকাতের বিষয়ে সচেতন হওয়া ও বিষয়টি গুছিয়ে নেওয়া। 

ফিতরা: সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। সদকা অর্থ দান, ফিতর অর্থ রোজার সমাপন বা শেষ। ফিতরা মানে এমন কোন খাদ্যসামগ্রী দান করা, যা দিলে গরিব দুঃখীরা ঈদের দিনে খেয়ে খুশি হয়। এ দান প্রত্যেক রোজাদারকেই প্রদান করতে হবে। ফিতরা সেই মুসলিমের ওপর ফরয যে ব্যক্তির ঈদের রাত ও দিনে নিজ ও পরিবারের আহারের প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত খাদ্য মজুদ থাকে।

আমরা অনেক ক্ষেত্রেই ফিতরা আদায়ে অসতর্ক থাকি। যা মোটেও যুক্তিসঙ্গত নয়। তাই ফিতরা আদায়ে সচেতন হওয়া এবং ঈদের আগেই বিষয়টি গুছিয়ে নেওয়া। 

ঘর ও আসবাবপত্র পরিষ্কার রাখা: উৎসব আয়োজনে ঘর পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। চাইলে ঘর সাজানো যেতেই পারে। এতে ঘরের শোভা বৃদ্ধি পাবে। আসবাবপত্র বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তাই ঈদের আগেই আসবাবপত্র ভালো মতো পরিষ্কার করুন, সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখুন। চাইলে টেবিল-সোভার কভার পরিবর্তন করতে পারেন। 

আরও পড়ুন : ঈদের ছুটিতে বাসা-বাড়ির নিরাপত্তায় করণীয়

রান্নার সামগ্রী: ঈদে নানান রান্না আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়। এসব রান্নায় থাকে নতুনত্ব। তাই ঈদে কি কি রান্না করবেন, তা আগেই গুছিয়ে নেওয়া যায়। রান্নায় প্রয়োজনীয় উপকরণও গুছিয়ে রাখতে পারেন। 

জামা-কাপড়: ঈদে বাহিরে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে আমরা অনেক সময় দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যাই। কি ধরনের কাপড় পরবো, পাঞ্জাবি নাকি শার্ট, টি-শার্ট নাকি অন্য কিছু এ নিয়ে আমাদের মধ্যে চিন্তার ভাঁজ নামে। তাই ঈদের কোন সময়ে কি পড়বেন তা আগেই গুছিয়ে নিতে পারেন। 

আপ্যায়ন:  ঈদের দিনে আত্মীয়-পরিজনের বাড়ি যাওয়ার রীতি রয়েছে। বাড়িতে অতিথি এলে আপ্যায়ন করতে হয়। তাই কিছু খাবার আগেই তৈরি করে রাখতে পারেন। প্রয়োজনে ফিরনি, পায়েস,পুডিং আগেই তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।