বাবাকে নিয়ে প্রশ্ন করায় ক্ষেপেছেন হুমায়ূন পুত্র নুহাশ

ঢাকা কলেজ
হুমায়ূন আহমেদ-নুহাশ হুমায়ূন

সাক্ষাৎকারে সঞ্চালকের করা প্রশ্ন নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ ক্ষোভ ঝেড়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার ফেসবুকভিত্তিক লাইভ অনুষ্ঠানে যোগ দেন নুহাশ। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন সারা ফ্যায়রুজ যাইমা।

এদিন সাক্ষাৎকার চলাকালীন এক প্রশ্নে সঞ্চালক বলেন, হুমায়ূন আহমেদের পুত্র না হলে আপনি এখানে থাকতেন বলে মনে হয় কি-না?

এ প্রশ্নের জবাবে নুহাশ জানান, জানি না। সবশেষ আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় পাঁচটা ইন্টার্ভিউ করলাম। সেখানে এই জিনিসগুলো আসে না, আমার খুব আরাম লাগে। আন্তর্জাতিকভাবে মানুষ আমাকে কাজের ওপর চেনে। এটা আমাদের কালচারের একটি জিনিস, আর্টিস্টদের কাজের থেকে পার্সোনাল লাইফ নিয়ে ইন্টারেস্ট বেশি।

তিনি আরও বলেন, এই প্রশ্নগুলো দেশের মিডিয়ার কাছ থেকে বেশি আসে, মিডিয়াগুলো এই রিপোর্ট করতে পছন্দ করে। কাজের সাকসেস নিয়ে ইয়ে করতে পছন্দ করে না। ব্যাপারটা আসলে মিডিয়ার সৃষ্টি। এটা নিয়ে আমি আসলে চিন্তা করি না। আমি ইন্টারন্যাশনালি সেলিব্রেটেড ফিল্মমেকার; ওখানে আসলে ফ্যামিলি নিয়ে চিন্তা করার কোনো স্পেস নাই।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টও করেছেন নুহাশ হুমায়ূন। এতে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকতা যদি আরেকটু সম্মানজনক হতো! একটু আগে প্রথম আলোর লাইভ ইন্টার্ভিউতে ছিলাম; ভেবেছিলাম সেখানে 'ষ' (ওয়েব সিরিজ) নিয়ে কথা হবে। সেখানে আমাকে প্রশ্ন করা হলো, হুমায়ূন আহমেদ আমার বাবা না হলে আমি এখানে আসতে পারতাম কি-না। আমি ধারণা নেই, আপনি আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ও পুরস্কৃত একজন চলচ্চিত্র নির্মাতাকে এরকম প্রশ্ন কীভাবে করেন।

আরও পড়ুন : তেঁতুলতলা মাঠে এবার ঈদের জামাত হোক: খুশি কবির

তিনি আরও লিখেছেন, তোমাদের কী মনে হয় সানডেন্স, বুসান, এসএক্সএসডব্লিউ, মার্শে দ্যু ফিল্ম বাপের নাম দেখে প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ জানায়?

এদিকে নুহাশের বোন নোভা আহমেদ এমন সংবাদকর্মীদের এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।

নুহাশ হুমায়ূনের ওই পোস্টের মন্তব্যে নুহাশের মা গুলতেকিন খান লিখেছেন, আপসেট হয়ো না বাবা। এ কারণেই আমি কোনো পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিই না। তারা নানাভাবে চেষ্টা করে; আমি বলি, প্রশ্ন মেইলে পাঠাও। আমি দেখলাম, কয়েকটা প্রশ্নের পর আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করা শুরু করে। কেউ কেউ উত্তরের এক অংশ ধরে ভিডিও বানায়, নানা অসত্য তথ্য থাকে। এটাই কী পেশাদারিত্ব?

অভিনেত্রী অপি করিম লিখেছেন, খুবই টিপিক্যাল প্রশ্ন করেছে। এই ধরনের সাক্ষাৎকারগুলো এড়িয়ে চলো। বিশেষ করে কথিত, অর্থহীন লাইভ ইন্টার্ভিউগুলো।

এ বিষয়ে সঞ্চালক সারা ফ্যায়রুজ যাইমা জানান, নুহাশ হুমায়ূনকে ছোট করা কিংবা তার খারাপ লাগে, এমন কিছু বলার কোনো উদ্দেশ্য আমার ছিল না। তারপরও যদি তার কোনো কিছু খারাপ লেগে থাকে, সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আর যারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন, তাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, পুরো ইন্টার্ভিউ দেখলে জিনিসটা অনেকটাই ক্লিয়ার হবে।