হাফ ভাড়া দেওয়ায় শিক্ষার্থীকে মারধর

এমপিও
সাভার মডেল থানা প্রাঙ্গণে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

ঢাকার সাভারে বাসে হাফ ভাড়া দেওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা ওয়েলকাম পরিবহনের ৮টি বাস আটক করেছে।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সাভার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) মাকারিয়াস দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, এদিন দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের থানা স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার ইউসুফ কবির সেলিম (১৮) সাভার সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, ওয়েলকাম পরিবহনের একটি বাসে হাফপাশ দেওয়া নিয়ে ইউনুস কবির ও রিপন নামে দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়। এ ঘটনার এক পর্যায়ে বাসের চালক ও তার সহযোগী ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইউসুফকে মারধর করেন। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাভার মডেল থানা প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয়।

ভুক্তভোগী ইউনুস কবির সেলিম জানান, আশুলিয়ার পলাশবাড়ী বাস স্ট্যান্ড থেকে সাভার থানা স্ট্যান্ডে যাওয়ার জন্য আমরা ওয়েলকাম পরিবহনের একটি বাসে উঠি। এরপরে পল্লীবিদ্যুৎ স্ট্যান্ড থেকে আমাদের আরেক সহপাঠী একই বাসে ওঠে। থানা স্ট্যান্ডে পৌঁছানোর আগে বাসে থাকা কন্ডাক্টর ভাড়া চাইলে আমরা তিনজনে হাফপাশ ২২ টাকার পরিবর্তনে ৩০ টাকা দেই। এ সময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ ঘটনার এক পর্যায়ে তিনি আমাদেরকে মারধর করেন।

আরও পড়ুন : বাড়ছে বিসিএস প্রীতি, বদলে যাচ্ছে পেশা

আরেক শিক্ষার্থী রিপন জানান, হাফপাশ ভাড়া দিলেও ওই কন্ডাক্টর আমাদেরকে গালিগালাজ করেন। আমাদেরকে মারধর করেন তিনি, এতে গাড়ির গ্লাসে হাত গেলে ইউসুফের হাত কেটে যায়। আমার অন্য সহপাঠীরা এ বিষয়টি জানতে পারলে তারা সড়কে এসে ওয়েলকাম পরিবহনের ৮টি বাস আটক করেন। এ ঘটনায় আমরা তাদের বিচার চাই।

এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) মাকারিয়াস দাশ বলেন, দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।