মাইক ব্যবসায়ীর ৮ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ নিয়ে গড়িমসি ছাত্রলীগের

মাইক ব্যবসায়ীর ৮ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ নিয়ে গড়িমসি ছাত্রলীগের
মাইক ব্যবসায়ীর ৮ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ নিয়ে গড়িমসি ছাত্রলীগের

গত বছরের ১৯ মার্চ সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। সংঘর্ষের সময় মাইক ব্যবসায়ীর প্রায় ৮ লাখ টাকার যন্ত্রাপাতি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চাইতে গেলে সংগঠনটির এক নেতা অপর কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন ব্যবসায়ী তৈয়বুরকে।

তৈয়বুরের অভিযোগ, তার যন্ত্রপাতি ভাঙচুরের পর থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের দ্বারে দ্বারে গত ১১ মাসে ঘুরেও ক্ষতিপূরণ তিনি কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ পাননি।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাদ্দাম হোসেনের গড়িমসিই ক্ষতিপূরণ প্রদানে বিলম্বের কারণ।

আরও পড়ুন: ভর্তিচ্ছুদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে ঢাবি ছাত্রলীগ

ব্যবসায়ী তৈয়বুর জানান, শুরুতে জয় ভাই ও লেখক দাদাকে বিষয়টা জানানো হয়েছিল। ওনারা সাদ্দাম ভাই আর জুবায়ের ভাইয়ের সাথে কথা বলে আমার পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এক বছর হয়ে গেল আমার টাকা আমি পেলাম না। এখন টাকাগুলো পেলে উপকৃত হতাম।

জানা যায়, ২০২১ সালের ১৯ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় অতিথিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচিতে সাউন্ড বক্স বাজানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারন সম্পাদক জুবায়ের হোসেনের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ব্যবসায়ী তৈয়বুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের তত্ত্বাবধানে সাদ্দাম হোসেন ও জুবায়েরের মধ্যে সৃষ্ট মনোমালিন্য দূর করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়া হয়। অন্যদিকে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী ক্ষতিপূরণ বাবদ আট লাখ টাকার চেয়ে জয়-লেখকের শরণাপন্ন হয়।

আরও পড়ুন: বছরজুড়ে আলোচনার তুঙ্গে ছিল চবি শাখা ছাত্রলীগ

তৈয়বুর জানান, সে সময় ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক তাকে টাকা তুলে দেয়ার আশ্বাস দেন। এভাবে বারবার আশ্বাস দিয়ে তাঁরা টাকা তুলে দিতে ব্যর্থ হয়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ায় এবং টাকা না পাওয়ায় চাপের মুখে জয়-লেখক একপর্যায়ে সাদ্দামের থেকে টাকা চাওয়ার পরামর্শ দেন।

এদিকে, যেকোন সময় ক্ষতিপূরণ দিতে শুরু থেকেই প্রস্তুত থাকার দাবি করে আসছেন ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের। তিনি জানান, সে (তৈয়বুর) এখনো আমাদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করেনি। আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা সাদ্দামসহ একসাথে বসে একটা ব্যবস্থা করে দেব।

অন্যদিকে ঢাবি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলছেন ভিন্ন কথা। যদিও শুরু থেকেই তিনি আশ্বাস দিয়ে আসছিলেন ক্ষতিপূরণ দেয়ার। কিন্তু এখন তার বক্তব্য হচ্ছে, এটা কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ দেখবে। আমরা এ বিষয়ে তাদেরকে বলেছি। তবে এ বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।