শেখ হাসিনাকে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর ফোন

শেখ হাসিনাকে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর ফোন
শেখ হাসিনাকে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর ফোন

বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক পারস্পরিক সুবিধার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। এর আগেও দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈদেশিক সম্পর্ক চলমান ছিল।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষ্যে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করলে উভয় দেশই এ বিষয়ে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন: মাঠেই লুটিয়ে পড়লেন এরিকসেন, স্থগিত ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ডের ম্যাচ

টেলিফোনে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

কথোপকথনের সময়, বালাদেশের দুটি তাৎপর্যপূর্ণ বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে উভয় প্রধানমন্ত্রী একে অপরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। উভয় প্রধানমন্ত্রী ব্যবসা-বাণিজ্যের মতো পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়েও কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

শেখ হাসিনা ডেনমার্কের ইতিহাসে দ্বিতীয় মহিলা এবং সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীকে আবারো শুভেচ্ছা জানান।

আরও পড়ুন: স্নাতকোত্তরে ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ দিচ্ছে ডেনমার্কের রোসকিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়

ডেনমার্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈদেশিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে ডেনমার্ক সরকার একটি দূতাবাসও রয়েছে। একই সাথে বাংলাদেশও ডেনমার্কে রাষ্ট্রদূত প্রেরণ করেছে। ডেনমার্কের স্টকহোমে বাংলাদেশেরও দূতাবাস রয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতাউত্তর সময়ে ডেনমার্ক উন্নয়ন সহায়তায় অংশ নিয়েছে। তারা বাংলাদেশে পরিবহন, পানি পরিবহন, কৃষি, মৎস্য, গ্রামীণ উন্নয়ন, প্রযুক্তি ইত্যাদি খাতে সহায়তা প্রদান করে ডেনমার্ক বাংলাদেশের মানবাধিকার ও নাগরিক সমাজকেও সহায়তা প্রদান করছে।

সৌর ও বায়ুশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াও বাসা-বাড়ি ও কলকারখানায় উন্নত জ্বালানী ব্যবস্থাপনা, অপচয় রোধসহ জ্বালানীর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ডেনমার্কের সবুজ প্রযুক্তি (গ্রীন টেকনোলজি) বাংলাদেশে নিয়ে যেতে কাজ শুরু করেছে। এই ব্যাপারে ডেনমার্ক বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে।