মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ শিশু সুরাইয়া আজ স্কুলে যাচ্ছে

শিশু
মায়ের সাথে সুরাইয়া

মাগুরায় সন্ত্রাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে মাতৃগর্ভে থাকা শিশু সুরাইয়া গুলিবিদ্ধ হন। সে সময় হাসপাতালে জটিল অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সুরাইয়া পৃথিবীতে আসেন। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা সেই ছোট্ট সুরাইয়া আজ স্কুলে যাচ্ছে।

রবিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে তার মা নাজমা বেগম মাগুরা পুলিশ লাইনস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে শিশু শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়।

আরও পড়ুন: এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন শেষ ৬ জানুয়ারি

সুরাইয়ার সুস্থতার বিষয়ে তার নাজমা বেগমে কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, নানা জটিলতায় তাকে বার বার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হয়, এতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হচ্ছে। সুরাইয়া জন্মের পর অনেকেই অনেক অশ্বাস দিলেও এখন আর কেউই খোঁজ নেয় না।

নাজমা বেগম আরো বলেন, সুরাইয়ার ডান চোখটি একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। ডাক্তার বলেছেন, ডান চোখ তুলে না ফেললে বাম চোখও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তার সমবয়সের বাচ্ছারা এখন দৌঁড়ে বেড়ালেও সুরাইয়া এখনও দাঁড়াতেও পারে না। তারপরও অনেক স্বপ্ন নিয়ে ওকে স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছি।

সুরাইয়ার ভর্তি হওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক জন্নাতুল ফেরদৌস জানান, ‘সুরাইয়াকে স্কুলে নিয়ে আসা হলে আমারা তাকে শিশু শ্রেণিতে ভর্তি করি। যেহেতু শিশুটির বয়স ছয় বছর।

সুরাইয়ার বাবা বাচ্চু ভুইঞা জানান, ‘গুলিবিদ্ধের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সুমন সেনসহ সবাই জামিনে মুক্তি পেয়ে গেছে। মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি শংকিত। আমাকে অনেকভাবে চাপ দেওয়া হয়েছে মীমাংসার জন্য, কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি’।

আরও পড়ুন:অনার্সে সেকেন্ড ক্লাস পেলেও মাস্টার্সে ফার্স্ট ক্লাস পেলেন সাদ্দাম

মামলার ওকিল অ্যাডভোকেট আশরাফ হোসেন লিটন বলেন, আসামিরা সবাই এখন জামিনে আছে। তবে মামলাটি এখনও বিচারাধীন।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই মাগুরায় দুদল সন্ত্রাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে নাজমা বেগম এবং তার গর্ভে থাকা শিশু সুরাইয়া গুলিবিদ্ধ হন।