শিক্ষার্থী সংকটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

করোনা মহামারীর কারণে নাজেহাল বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা। উচ্চ শিক্ষায় এসে ঝড়ে পড়ছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ভর্তির অনুমতি থাকা সত্ত্বেও এইচএসসি উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও এখনো শিক্ষার্থীরা স্নাতক শ্রেণীতে ভর্তি হচ্ছেন না।

এদিকে, শিক্ষার্থী না পাওয়ায় বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। দেশে ৪৯টি সরকারি এবং ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

দেশে এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হয়েছিল ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থী। এতো সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্য হলেও তারা উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হননি।

ভর্তি কম হওয়ার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পছন্দের তালিকায় থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এ কারণে শিক্ষার্থীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ঝরে পড়েছে। ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিলম্বের কারণে নারী শিক্ষার্থীদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। আর করোনায় চাকরি, ব্যবসা হারিয়ে অর্থসংকটে পড়া অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের আর উচ্চশিক্ষায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ গ্রাম থেকে আসে। টিউশনি করে তাদের লেখাপড়া ও অন্যান্য খরচ চলে। করোনায় তাদের টিউশন প্রায় শূন্যের কোঠায়। ফলে এসব শিক্ষার্থী আর রাজধানী বা বিভাগীয় শহরের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছেন না। এ কারণে শিক্ষার্থী পাচ্ছেন না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

সরকার বেসরকারি কলেজে অনার্স কোর্স বন্ধ করে দেবে—এমন ঘোষণায় বেসরকারি কলেজেও শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে না। ফলে শিক্ষার্থী ঝরে না পড়লে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শেষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বড় একটি চাপ তৈরি হবে বলে মনে করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তারা।

আরও দেখুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে তৃতীয় দফায় প্রস্তুতি চলছে: গোলাম ফারুক