হাদি হত্যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি, ৭ জানুয়ারি চার্জশিট: ডিএমপি কমিশনার

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী © টিডিসি ফটো

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের পেছনের রহস্য উদ্‌ঘাটন ও সংশ্লিষ্টদের পরিচয় এবং মামলার গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সব পরিকল্পনা ও এতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে। ইতিমধ্যে মামলার তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার জানান, সরকারের নির্দেশনায় পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা একযোগে কাজ করছে। তদন্তের স্বার্থে সব তথ্য এখনই প্রকাশ করা সম্ভব না হলেও মামলার গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে অভিযুক্ত ফয়সালের বাবা-মা, স্ত্রী, স্ত্রীর ভাই এবং তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন রয়েছেন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুইটি পিস্তল উদ্ধার করে সিআইডিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আজ ওসমান হাদি হত্যা মামলা তদন্তের অগ্রগতি জানাবে ডিএমপি

শেখ মো. সাজ্জাদ আলী বলেন এ হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেনের তথ্য মিলেছে। প্রমাণ হিসেবে ২১৮ কোটির স্বাক্ষরিত একটি চেকও উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ৭ জানুয়ারির মধ্যেই মামলার চার্জশিট দাখিলের লক্ষ্য রয়েছে। এ সময় সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি অচিরেই সত্য প্রকাশ পাবে বলে আশ্বাস দেন।

একই সময়ে উপস্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তদন্ত এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। সব প্রমাণ যাচাই-বাছাই করে ৭ জানুয়ারির পর দ্রুত সময়ের মধ্যেই চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে তিনি জানান। তার ভাষ্যে, এটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা, তাই নির্ভুল ও শক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার নিশ্চিত করা হবে। তিনি আরও বলেন, যারা এখনো পলাতক রয়েছে তারাও আইনের বাইরে থাকতে পারবে না।

উপদেষ্টা জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালের মধ্যেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।