এত শীতের কারণ কী, কতদিন থাকবে শীতের তীব্রতা?

তীব্র শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের
তীব্র শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের © সংগৃহীত

সারাদেশে তীব্র শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের। রাত থেকে সকাল অবধি ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকছে পথঘাট। রোদ উঠলেও অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। এদিকে মীতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি উত্তরের জেলা দিনাজপুরে। খড়কুটো জ্বালিয়ে তারা শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। জীবিকার তাগিদে অনেকে আবার শীত উপেক্ষা করেই কাজে যাচ্ছেন। 

কুয়াশার চাদরে ঢেকে পড়তে শুরু করেছে দেশ, সঙ্গে জেঁকে বসছে শীত। মাঝে মাঝে বইছে হিমেল হাওয়া। এরই মধ্যে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল থেকে সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রত্যেক বছরই নিয়ম করে শীত পড়ে। কিন্তু শীতের দাপট চলতি বছর একটু বেশিই মনে হচ্ছে। আজ কয়েকদিন যে পরিমাণ শীত পড়ছে তা আগামীকাল থেকে কমে যাবে বলে আশা করছি। তবে আগামী ২৯ তারিখ থেকে আবারও শীতের দাপট বাড়তে পারে। তখন দুই-তিন দিন শীতের তীব্রতা থাকতে পারে। 

আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় শরীয়তপুর–চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ

এত শীতের কারণ কী?
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য যদি ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে আসে, সেখানে শীতের অনুভূতি বাড়তে থাকে। কিন্তু পার্থক্য যদি পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসে তবে শীতের অনুভূতি প্রকট থেকে প্রকটতর হয়। অর্থাৎ হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হয়।’

শুক্রবার বিভিন্ন জেলার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার তুলনা করে দেখা গেছে রংপুর, দিনাজপুর, তেতুলিয়ার মতো উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ অঞ্চলেই তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম। এছাড়া ঢাকা, বগুড়া, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলেও তাপমাত্রার পার্থক্য ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম।

নিয়ম অনুযায়ী, তাপমাত্রা আট থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আর চার থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। আর তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে হয় অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গা তাপমাত্রাই কেবল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে আছে। তবে শীতের তীব্রতা সারাদেশেই অনুভূত হচ্ছে।