প্রশাসনের স্থগিত কর্মসূচি উপেক্ষা করে সেই জগদীশপুর চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলেন মুক্তিযোদ্ধারা!

জগদীশপুর চত্বরে ফুল দিলেন মুক্তিযোদ্ধারা
জগদীশপুর চত্বরে ফুল দিলেন মুক্তিযোদ্ধারা © সংগৃহীত

বিজয় দিবস উপলক্ষে সেই জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছেন হবিগঞ্জের মাধবপুরের মুক্তিযোদ্ধারা। এর আগে ঐতিহাসিক জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে পুষ্পার্পণ ও সম্মান প্রদর্শনের কর্মসূচি হঠাৎ স্থগিত করে উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, প্রতিবছর বিজয় দিবসে জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে নিয়মিতভাবে পুষ্পার্পণসহ নানা কর্মসূচি পালিত হলেও এবার কোনো সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই তা বাতিল করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রতিবছরের মতো ১৫ ডিসেম্বর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর জিয়ারতের কর্মসূচিও এবার রাখা হয়নি।

আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে পুষ্পার্পণ স্থগিত, প্রতিবাদ মুক্তিযোদ্ধাদের

বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি থেকে বাদ দেওয়া হলে তা উপেক্ষা করে অধিকাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধারা।  সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে বিজয় দিবস পালন করেন।

এ সময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এনাম খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা রতি রঞ্জন দাসসহ আরও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মাধবপুর পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সভাপতি জারু মিয়া বলেন, 'জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর আমাদের অসংখ্য স্মৃতি বহন করে। যুগ যুগ ধরে চলে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের এই কর্মসূচি কোনো উপকমিটির সিদ্ধান্তে বাতিল হতে পারে না। আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এর তদন্ত দাবি করছি।'

বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মহান বিজয় দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় দিবস কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে মুছে যাওয়ার নয়। এই দিনটি আমাদের অস্তিত্ব, আত্মত্যাগ ও স্বাধীনতার প্রতীক। যত বাধাই আসুক, বিজয়ের চেতনাকে ধারণ করেই দিবসটি পালন করা হবে।
তারা ভবিষ্যতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনারও জোর দাবি জানান।

এ বিষয়ে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ বিন কাসেম বলেন,'মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত উপ-কমিটিই কর্মসূচি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এটি উপজেলা প্রশাসনের মনগড়া কোনো সিদ্ধান্ত নয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে অন্যান্য কর্মসূচি আমরা সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করছি।'