প্রাইভেট কার থেকে প্রেমিককে নামিয়ে তরুণীকে নিয়ে ধর্ষণ

প্রেমিককে পথিমধ্যে নামিয়ে রেখে তার প্রেমিকাকে প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে এক প্রাইভেট কার চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর তাৎক্ষণিক তৎপরতা ও পুলিশের সমন্বিত অভিযানে অপহৃত তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।

আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

৯৯৯ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, তিনি এবং তার প্রেমিকা উত্তরার আজমপুর এলাকা থেকে ভাড়াকৃত একটি সাদা রঙের টয়োটা প্রিমিও প্রাইভেট কারে করে ময়মনসিংহের ত্রিশাল যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ভরাডোবায় পৌঁছালে গাড়ির চালক চা খাওয়ার কথা বলে গাড়ি থামান। তখন কলার ও চালক চা খেতে নামলেও তার প্রেমিকা গাড়ির ভেতরে ঘুমিয়ে থাকায় নামেননি।

একপর্যায়ে চালক গাড়ি থেকে মোবাইল ফোন আনার কথা বলে ওই তরুণীকে নিয়ে প্রাইভেট কারটি চালিয়ে দ্রুত চলে যান। এ সময় ভুক্তভোগীর প্রেমিক গাড়িটির নম্বর বলতে না পারলেও সাদা রঙের টয়োটা প্রিমিও প্রাইভেট কার বলে জানান।

আরও পড়ুন: হাদিকে গুলির ঘটনায় আরও একজন শনাক্ত

ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ময়মনসিংহ পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। কলটি গ্রহণ করেন ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল ফাহিম হোসেন এবং উদ্ধার তৎপরতার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সঙ্গে তদারক ও সমন্বয় করেন ৯৯৯ ডিসপাচার এসআই দিলীপ কুমার বিশ্বাস।

৯৯৯ থেকে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ জেলার প্রতিটি থানার টহল টিম দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের সহায়তায় ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল শহরের আকুয়া, হাজিবাড়ি ও ফুলবাড়িয়া সড়কের একটি গ্যারেজ থেকে অপহৃত তরুণীকে (১৮) উদ্ধার করে।

এ সময় অপহরণের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয় এবং অভিযুক্ত গাড়ির চালক মনির (৪৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়। ভুক্তভোগীর বর্ণনা অনুযায়ী, অপহরণের পর তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে এ তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার পর এ বিষয়ে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মুকিত হাসান ৯৯৯-এর কাছে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।