হাদির আসামিদের ভারত পালানোর তথ্য, যা বলছে পুলিশ
- ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৮
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে গুলি ফয়সাল করিম এবং তার সহযোগী মোটরবাইক চালক আলমগীর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে বলে দাবি করেছেন সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। তবে এমন তথ্য পুলিশের কাছে নেই বললেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তালেবুর রহমান বলেন, আমরা আসামির যে তথ্যগুলো আমাদের কাছে আছে সেগুলো বিশ্লেষণ করছি। আমাদের গোয়েন্দা তৎপর রয়েছে। তবে দেশের বাহিরে যাওয়ার তথ্য আমাদের কাছে নেই।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনায় তদন্তে বিশেষ অগ্রগতি হয়েছে। প্রধান সন্দেহভাজনের বাসাসহ ৫টি স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে এসব স্থানে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, এমন কোনও তথ্যও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক গ্রেফতার
এর আগে, রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর রাতে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের সংগঠক ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্য গুলি করার ঘটনার সাথে জড়িত শ্যুটার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং তার সহযোগী মোটরবাইক চালক আলমগীর হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় (১২ ডিসেম্বর) সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের বর্তমান অবস্থান আসামের গুয়াহাটি শহরে।
ভারতে তাদের সহায়তা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব। বিপ্লবের তত্বাবধানে এই হত্যাকারীরা ভারতে অবস্থান করছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে এই আক্রমণ করা হয়েছে এবং আরো কয়েকটি হিট টিমের একইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তির পরিকল্পনা চেষ্টা রয়েছে। এদিকে মূল শ্যুটার ফয়সাল তার ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছে ব্যবহৃত অস্ত্রটি জ্যাম হয়ে যাওয়ায় সে কেবল একটি গুলি করতে সক্ষম হয়, তার পরিকল্পনা ছিলো চারটি গুলি করার।
সূত্র দাবি করেছে ফয়সালের মতোই আরেক অস্ত্রধারী ক্যাডার চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ সাজ্জাদ, যাকে গত ১৩ মে ২০২৫ রাজধানী ঢাকার গুলশান এলাকা হতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে ফয়সাল আহমেদ শান্ত হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে ২৯ জুলাই ২০২৫ সাজ্জাদ সুপ্রীম কোর্ট হতে জামিন প্রাপ্ত হয়ে কারামুক্ত হয়েছেন। অনতিবিলম্বে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের যেসকল অস্ত্রধারী ক্যাডারদের বিভিন্ন মামলায় জামিন প্রদান করা হয়েছে, তাদের প্রত্যকের বর্তমান অবস্থান যাচাই ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া জরুরি।