ভারতের গোয়ায় নাইটক্লাবে আগুনে পর্যটকসহ নিহত বেড়ে ২৫
- ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৯
তখন শনিবার রাত সাড়ে ১২টা। সপ্তাহের শেষ দিনগুলোয় এমনিতেই নৈশক্লাব, পাব ও রেস্তোরাঁয় ভিড় থাকে থাকে। ভারতের উত্তর গোয়ার আরপোরা গ্রামের ক্লাবটিতেও ভিড় ছিল যথেষ্ট। দোতলায় নাচ-গানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ক্লাবের সদস্য, কর্মী ও পর্যটক মিলিয়ে ১০০ জনের মতো ছিলেন। সবাই নাচগানে মশগুল।
ক্লাবটিতে হায়দরাবাদ থেকে গিয়েছিলেন ফতিমা শেখ। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘দোতলায় নাচগান চলছিল। আমিও ছিলাম। হঠাৎ শুনলাম আগুন লেগেছে। যেখানে নাচগান হচ্ছিল, তার পাশেই আগুন লেগেছিল। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সবাই। একসঙ্গে নীচে নামার চেষ্টা করেন। বেশিরভাগই বেরিয়ে আসতে পারেন। আগুন দ্রুত ছড়ানোই কয়েকজন বেসমেন্টে আশ্রয় নেন।’
পুলিশ সূত্রের খবর, বেসমেন্টের রান্নাঘরে আটকে পড়া ২৫ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজন পর্যটক। দমকল সূত্রের খবর, বেশির ভাগেরই মৃত্যু হয়েছে ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন হোটেলের কর্মী, চারজন পর্যটক এবং স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। ১৮ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। ৬ জন আহত হয়েছেন।
গোয়ার আরপোরা নদীর ধারে রয়েছে এই নৈশক্লাব। রাস্তাও খুব একটা চওড়া নয়। ফলে দমকলের গাড়িও ঢুকতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। ৪০০ মিটার দূরেই গাড়ি দাঁড় করাতে হয়। তারপর দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। ততক্ষণে ক্লাবের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছিল। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বেজমেন্ট থেকে কয়েকজনকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের গোয়ায় নৈশক্লাবে পার্টি চলাকালে আগুন, প্রাণ গেল ২৩ জনের
এ ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাবন্ত। ক্লাবের মালিক ও জেনারেল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬ জন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ক্লাবে ভিড় ছিল যথেষ্ট। তা ছাড়া যে জায়গায় আগুন লাগে, সেখান থেকে পর্যটকরা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু বের হওয়ার পথ যথেষ্ট সংকীর্ণ থাকায় অনেকেই বার হতে পারেনি। কেউ কেউ নিচতলায় আশ্রয় নেন।’