গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৪০০ কোরআন বিতরণ

শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৪০০ কোরআন বিতরণ
শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৪০০ কোরআন বিতরণ © সংগৃহীত ছবি

আল-কোরআন অ্যান্ড কালচারাল স্টাডি ক্লাবের উদ্যোগে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) ১৪০০টি ফ্রি কোরআন বিতরণ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ এক মাস যাবত ফ্রি কোরআন কোর্স চালু ছিল। কোর্স শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে ফ্রি কোরআন বিতরণের জন্য আজকের এ আয়োজন সম্পন্ন করা হয়।

ক্লাবের পরিচালক আবু দারদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দীন শেখর এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সোহেল হাসান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজিব, ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ আলী,  ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন ড. মাহবুবুর রহমান সহ প্রমুখ। 

আরও পড়ুন: অবশেষে পদোন্নতি পেলেন শিক্ষা ক্যাডারের ১৮৭০ প্রভাষক

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দীন শেখর বলেন, সীরাতুন্নবী (সা.) সম্পর্কে জানলে আমরা মানবতার প্রকৃত দিকনির্দেশনা পাই। ইসলাম আমাদের জীবনবিধান, যা আত্মশুদ্ধি ও সমাজকল্যাণের বার্তা দেয়। তিনি কোরআন বিতরণকে একটি মহৎ উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান বলেন, আল-কোরআন মুসলিমসহ সমগ্র মানবজাতির জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। আমাদের জীবন সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে নিয়মিত কোরআন পাঠ করা প্রয়োজন।

আল-কোরআন অ্যান্ড কালচারাল স্টাডি ক্লাবের পরিচালক আবু দারদা সোহান বলেন, আজ আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রায় ১৪০০ কপি কোরআন বিতরণ করেছি। প্রিয় শিক্ষার্থী ভাই-বোনেরা, আমরা আপনাদের কোরআন দিয়েছি শুধু বাসায় তুলে রাখার জন্য নয়। আমরা অনুরোধ করবো, আপনারা নিয়মিত কোরআন অধ্যয়ন করবেন এবং ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে তা মেনে চলার চেষ্টা করবেন। আজকের এই অনুষ্ঠানে আপনাদের উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ। আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন ভবিষ্যতে এমন আরও আয়োজন করতে পারি।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো নবী করিম (সা.)-এর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং পবিত্র কোরআনের আলো সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া। ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এমন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন তারা।