২৬০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি নিয়ে সুখবর দিলেন উপদেষ্টা
- ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৮
সারাদেশে সাধারণ ও কারিগরি মিলিয়ে দুই হাজার ছয় শতাধিক এমপিওভুক্তির উপযোগী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারের সভাপতিত্বে নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান, গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সহসম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির শিক্ষা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ওমর ফারুক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মো. ফয়সালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
বৈঠকে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক–কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত এমপিওভুক্তকরণ প্রক্রিয়া, নীতিমালা, বাস্তবায়ন কৌশল এবং সরকারের চলমান পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ শুরু ১৯ নভেম্বর, তথ্য নেওয়া হতে পারে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সবাই মিলে যদি প্রস্তাব দেয় যে ক্ষমতায় গেলে এমপিও প্রক্রিয়াকে তারা অব্যাহত রাখবে এবং শিক্ষকদের মান-মর্যাদা বাড়াবে, তবে এখনই তা ঘোষণা করা উচিত। তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের ঘরে ফিরতে উৎসাহিত করতে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যা করা প্রয়োজন, সরকার সেই চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক দলগুলো এমন ঘোষণা দিলে বৃহত্তর জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে এবং শিক্ষকরা আশ্বস্ত হবেন।
ড. সি আর আবরার আরও বলেন, নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার জন্য চলতি অর্থবছরে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। এর মধ্যে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বাসা ভাড়া বৃদ্ধি, বোনাসসহ অন্যান্য খাতে। তবে যারা এবার এমপিওভুক্ত হতে পারেননি এবং যেসব যোগ্য প্রতিষ্ঠান একাধিকবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, তাদের বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমাদের এমপিওটা হবে মূলত কারিগরির ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নিতে। তাই ঢালাওভবে এমপিওভুক্তি না করে কারিগরি শিক্ষাকে যারা প্রমোট করেন, তাদের বিষয়টাকে মাথায় রাখা হচ্ছে। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোও যেন কারিগরি শিক্ষার দিকে মনোযোগ দেয় তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়া দরকার।