শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান শিবিরের
- ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১৭
এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত নন-এমপিও শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলা, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিসমূহ মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
গতকাল রবিবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ নিন্দা ও দাবি জানান।
যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত নন-এমপিও শিক্ষকরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনকালে বিকেল ৪টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে হামলা চালায়। এতে প্রায় অর্ধশত শিক্ষক আহত হন। এর আগে গতকাল শাহবাগে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’- এর ব্যানারে তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপরও নির্বিচার হামলা চালায় পুলিশ, যাতে শিক্ষক, পুলিশ ও রিকশাচালকসহ অন্তত ১১০ জন আহত হন।
নেতৃদ্বয় বলেন, মানুষ গড়ার কারিগর সম্মানিত শিক্ষকদের ওপর এ ধরনের দমননীতি জাতির জন্য লজ্জাজনক এবং শিক্ষক সমাজের মর্যাদার ওপর চরম আঘাত। ইতোপূর্বেও শিক্ষকদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে, চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে তাদের দাবি বাস্তবায়ন করা হবে। কিন্তু তা না মানায় শিক্ষকরা পুনরায় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হন। আন্দোলন করা সবার নাগরিক অধিকার। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পরিবর্তে এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আহত শিক্ষকদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।
আরও পড়ুন: ‘এই বেয়াদব ছেলে, গেট আউট’ রাকসুর জিএসকে রাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার
বিবৃতিতে তারা বলেন, শনিবারে হামলার প্রতিবাদে প্রাথমিক শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন, যা শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সমগ্র সমাজের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। অচিরেই বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে; এই সময়ে পাঠদান বন্ধ রাখলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা। আমরা আশা করি সম্মানিত শিক্ষক সমাজ এই বিষয়টি সদয় বিবেচনা করবেন।
দাবি মেনে নেওয়া ও হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষক জাতি গঠনের মূল কারিগর; তাদেরকেই বারবার রুটিরুজির দাবিতে রাস্তায় নামতে হচ্ছে—এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। শিক্ষক সমাজের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করে কিংবা দমননীতি প্রয়োগের মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। আমরা শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে, হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।