বেসরকারি শিক্ষা পর্ষদ নিয়ে সরকারি উদ্যোগ ও জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিতের উপায়
- ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৪৮
বাংলাদেশে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি নয়। বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত অর্থাৎ বেসরকারি পরিচালনায় পরিচালিত। এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ মূলত গঠিত হয় স্থানীয় শিক্ষানুরাগী, দাতা পরিবারের একজন শিক্ষানুরাগী সদস্য এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী এবং অভিভাবকদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একজন সভাপতি ও কয়েকজন সদস্য মিলে।
পরিচালনা বোর্ডের দক্ষতা, পৃষ্ঠপোষকতা এবং পরিচালনা দক্ষতার উপর নির্ভর করে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সফলতা। কিন্তু সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব, দুর্নীতি, এবং শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে দীর্ঘদিনের অনিয়ম থেকে মুক্ত করার অভিপ্রায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ম্যানেজিং কমিটি সংক্রান্ত প্রবিধানমালায় (২০২৪) এক আমূল সংশোধন আনার উদ্যোগ নেয়।
সংশোধিত প্রজ্ঞাপন (৩১ আগস্ট, ২০২৫) এবং পরবর্তী পরিপত্রে (৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদের জন্য সুনির্দিষ্ট যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়। নতুন বিধান অনুযায়ী, সভাপতি হতে পারবেন শুধুমাত্র সরকারি, আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নবম গ্রেডের নিচে নন এমন কর্মরত কর্মকর্তা, অথবা পঞ্চম গ্রেডের নিচে নন এমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এ নির্দেশনা জারির পাশাপাশি ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিয়মিত কমিটি গঠন এবং ১ ডিসেম্বর থেকে সব অ্যাডহক কমিটি বিলুপ্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের মতো কিছু শিক্ষক সংগঠন এ কঠোর পদক্ষেপকে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধের জন্য অপরিহার্য মনে করে স্বাগত জানালেও, এর অন্তর্নিহিত প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সিদ্ধান্তটি তীব্র আইনি ও রাজনৈতিক বিরোধিতার জন্ম দেয়। সমালোচকরা, বিশেষত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), এটিকে শিক্ষা পরিচালনায় একটি সুস্পষ্ট অনধিকার হস্তক্ষেপ হিসেবে আখ্যা দেয়। তাদের মতে, সরকারি কর্মকর্তাদের পদায়ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনবে। সরকারি কর্মকর্তারা সরকারি মানসিকতা ও আমলাতান্ত্রিক প্রভাব বহন করেন, ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসন ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
বিএনপি মনে করে, সরকারের এ পদক্ষেপের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক বা স্থানীয়ভাবে নির্বাচিত নেতৃত্বকে পাশ কাটানো হচ্ছে। বিষয়টি স্থগিতচেয়ে ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বরাবর লিখিত দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান প্রশ্ন তোলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গঠিত কমিটিগুলো থাকা সত্ত্বেও কেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে তাড়িঘড়ি করে নতুন করে নির্বাচনের নির্দেশনা দেওয়া হলো, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হয়।
বিএনপির দাবি, শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি প্রভাব নয়, বরং অংশগ্রহণমূলক ও গণতান্ত্রিক পরিচালনাই শিক্ষার মানোন্নয়নে সহায়ক। তাদের যুক্তি হলো, কর্মকর্তারা পেনশনভুক্ত ও সরকারি সুবিধার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় তাদের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতা ও স্বায়ত্তশাসন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শিক্ষাবিদরা মনে করেন, সরকারি কর্মকর্তারা সহজাতভাবেই আমলাতান্ত্রিক মানসিকতা ও প্রভাব বহন করেন, যার ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থানীয় ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃত্বের ভূমিকা ক্ষুন্ন হবে।
এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসন ও স্থানীয় প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হবে এবং স্থানীয় সুশীল সমাজ বা নিঃস্বার্থ শিক্ষানুরাগীদের সুযোগ সীমিত হবে। নিঃস্বার্থ শিক্ষানুরাগীদের সুযোগ সীমিত হবে। এ পদক্ষেপে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিলুপ্তি একটি মুখ্য উদ্বেগের বিষয়। সংশোধিত বিধানে, সভাপতি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ার ঐতিহ্যবাহী পথ কার্যত বন্ধ করে শুধু 'পাবলিক সার্ভেন্ট' বা সরকারি কর্মকর্তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
খ্যাতনামা আইনজীবী ফখরুল ইসলাম হাইকোর্টে রিট করার সময় এ ধারাকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলে অভিহিত করেন, যা জনগণের গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের সুযোগ হরণ করে। সরকারি নিয়োগের মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা ও স্থানীয় মালিকানাবোধ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এছাড়াও, আমলাতন্ত্রের চিরায়ত গতিহীনতা এবং দীর্ঘসূত্রতার ঝুঁকিটিও এখানে প্রাসঙ্গিক।
সমালোচকরা মনে করেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় দ্রুত ও নমনীয় সিদ্ধান্তগ্রহণের প্রয়োজন হয়, যা সরকারি চাকুরিজীবীদের আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্ভব নাও হতে পারে। ফলস্বরূপ, শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার এবং কার্যক্রম স্থবির হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। সরকারি উদ্যোগটি কেবল রাজনৈতিক মতাদর্শগত বিরোধিতার সম্মুখীন হয়নি, এটি আইনি বাধার মুখেও পড়েছে।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনয়নসংক্রান্ত সংশোধিত ১৩(১) এবং ৬৪(৩) বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হলে, আদালত ২২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে সংশোধিত পরিপত্রের কার্যক্রম স্থগিত করেন এবং রুল জারি করেন। ফলস্বরূপ, নিয়মিত কমিটি গঠন ও অ্যাডহক কমিটি বিলুপ্তির প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে থেমে যায়। পরবর্তীতে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরও একটি প্রজ্ঞাপনের (২৪ নভেম্বর, ২০২৪) কার্যকারিতা স্থগিত হয়। এই বারবার স্থগিতাদেশ প্রমাণ করে যে, সরকারি উদ্যোগটি সর্বমহলে গৃহীত হয়নি এবং এর আইনি ভিত্তি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের যুক্ত থাকার যুক্তি অত্যন্ত জোরালো। শিক্ষাব্যবস্থাকে কেবল একটি প্রশাসনিক কাঠামো হিসেবে না দেখে, এটিকে বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দেখা উচিত। স্থানীয় সরকার ও রাজনৈতিক দল জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাদের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনায় বৃহত্তর জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিত হয়।
প্রথমত, জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসেন। তাদের উপস্থিতি পরিচালনা পর্ষদকে গণতান্ত্রিক বৈধতা দেয় এবং স্থানীয় জনগণের কাছে জবাবদিহি নিশ্চিত করে। তারা স্থানীয় চাহিদা, সমস্যা এবং প্রত্যাশাগুলো সম্পর্কে সরাসরি অবগত থাকেন এবং সে অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় দিকনির্দেশনা দিতে পারেন। অন্যদিকে, সরকারি কর্মকর্তারা সাধারণত স্থানীয় জনগণের কাছে সরাসরি দায়বদ্ধ নন, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এক ধরণের জনবিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করতে পারে।
দ্বিতীয়ত, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের রাজনৈতিক প্রভাব এবং স্থানীয় সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে আর্থিক ও অন্যান্য সম্পদ সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। রাস্তাঘাট, অবকাঠামো উন্নয়ন, স্থানীয় বিনিয়োগ এবং সরকারি অনুদান প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তাদের উদ্যোগ অত্যন্ত ফলপ্রসূ হতে পারে। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এই সংস্থানগুলিকে স্থানীয় উন্নয়নের সামগ্রিক কাঠামোর সঙ্গে সমন্বিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন।
তৃতীয়ত, জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে অভিভাবক, শিক্ষক, সুশীল সমাজ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে একটি কার্যকর সেতুবন্ধন তৈরি হয়। শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোনও সমস্যা সমাধানে বা নতুন উদ্যোগ গ্রহণে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা তাদের পক্ষে সহজ হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কেবল একটি ভবন থাকে না, বরং স্থানীয় সম্প্রদায়ের কেন্দ্রে পরিণত হয়। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন রোধের অজুহাতে এই জনসম্পৃক্ততার সুযোগটি বন্ধ করা হলে শিক্ষা পরিচালনায় স্থানীয় মানুষের মালিকানাবোধ কমে যায়।
চতুর্থত, রাজনৈতিক দলগুলি একটি নির্দিষ্ট শিক্ষা দর্শন ও সামাজিক উন্নয়নের অগ্রাধিকার নিয়ে কাজ করে। তাদের প্রতিনিধিরা এই দর্শনকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে প্রতিফলিত করতে পারেন। শিক্ষাকে কেবল ডিগ্রি প্রদানের যন্ত্র না বানিয়ে এটিকে জাতীয় ও স্থানীয় উন্নয়ন লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করার জন্য রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ‘জুলাই সনদ’ অনুষ্ঠানে ফ্যাসিবাদী শিক্ষক, অনুষ্ঠান বর্জন ছাত্র প্রতিনিধিদের
পঞ্চমত, আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রায়শই দীর্ঘসূত্রিতা ও নমনীয়তার অভাবের কারণে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধা দেয়। জনপ্রতিনিধিরা, বিশেষত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা, সাধারণত দ্রুত ও ফলপ্রসূ সমাধানে অভ্যস্ত থাকেন। তাদের উপস্থিতি প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণের চাহিদার মধ্যে একটি ভারসাম্য তৈরি করে এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় গতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে সরকারি চাকুরিজীবীদের অন্তর্ভুক্তিকে ‘অনধিকার হস্তক্ষেপ’ আখ্যা দেওয়ার পেছনে যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ রয়েছে। যদিও সরকারি উদ্যোগের লক্ষ্য, ছিল রাজনৈতিক দুর্নীতিমুক্ত একটি স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করা, কিন্তু সমাধানের পথটি ছিল ভারসাম্যহীন। প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসন ও স্থানীয় গণতন্ত্রের মূলনীতির পরিপন্থী। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন দূর করতে গিয়ে যদি স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ এবং নির্বাচিত নেতৃত্বের প্রতি আস্থা হারানো হয়, তবে তা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য একটি বড় ঝুঁকি তৈরি করে।
শিক্ষাবিদদের পরামর্শ ছিল—সরকার চাইলে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্থানীয় গণ্যমান্য ও শিক্ষিত ব্যক্তিদের যুক্ত করার বিধান রাখতে পারত। শিক্ষা ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পরিচালন কাঠামোতে সরকারের সাম্প্রতিক হস্তক্ষেপ একটি ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। বেসরকারি স্কুল ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটি (এমসি) ও গভর্নিং বডির সভাপতির পদে সরকারি কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্তির সরকারি সিদ্ধান্তটি
অনেকের কাছে শিক্ষাব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংস্কার হিসেবে মনে হলেও, সমালোচকরা এটিকে ‘অনধিকার হস্তক্ষেপ’ এবং আমলাতান্ত্রিকতার ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনার দায়িত্ব শুধু প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ওপর অর্পিত হলে এক ধরনের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হবে। একটি সুস্থ ও গতিশীল শিক্ষাব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন স্থানীয় অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, জনপ্রতিনিধি এবং জনস্বার্থে নিবেদিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক পরিচালনা পর্ষদ।
সুতরাং, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন রোধের নামে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে পাশ কাটানোকে অনধিকার হস্তক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করা এবং তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা পুরোপুরি যৌক্তিক। নীতিনির্ধারকদের উচিত আইনি বিতর্ক ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে স্থানীয় জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিত করে একটি টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা।
লেখক: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও অনুবাদক