অমর একুশে বইমেলা কবে?

অমর একুশে গ্রন্থমেলার তারিখ এখনও নির্ধারণ করেনি বাংলা একাডেমি
অমর একুশে গ্রন্থমেলার তারিখ এখনও নির্ধারণ করেনি বাংলা একাডেমি © টিডিসি সম্পাদিত

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সে কারণে অমর একুশে বইমেলা চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর শুরুর তারিখ নির্ধারণ করেছিল বাংলা একাডেমি। পরে তাও স্থগিত করা হয়। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে বইমেলার সময় নির্ধারণ করা হবে বলে বাংলা একাডেমিসহ সরকারের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বইমেলা স্থগিত করার পর এবার আর হবে কিনা, এ নিয়ে সংশয়ে আছেন অনেকে। তারা মনে করছেন, নির্বাচনকেন্দ্রীক কর্মকাণ্ডসহ অন্যান্য কারণে এ আয়োজন নাও হতে পারে। তবে সে সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম। সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমিক প্রাঙ্গনে এ আয়োজন করা হয়।

বইমেলা হবে জানিয়ে আজ রবিবার (২৬ অক্টোবর) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, নির্বাচন এবং অপরাপর ব্যাপার নিয়ে আমরা সময় ঠিক করব। বইমেলা নির্বাচনের আগে না পরে হবে, সেটা নির্ভর করবে তারিখ ঘোষণার ওপর। যেহেতু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনের একটা ঘোষণা আছে, সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সবাই মিলে বসে আমরা একটি সিদ্ধান্ত নেব।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা নিয়ে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলমও। তিনি বলেছেন, ‘সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে, বইমেলা যাতে খুব সুন্দর হয়। সময়ের ব্যাপারে জানি না, একই সময়ে করবে নাকি হেরফের করবে—সেটা বাংলা একাডেমির বিষয়। মেলা হবে—তাতে সন্দেহ নেই।’

আরও পড়ুন: ‘নির্বাচনের আগে জনপ্রতি মোবাইল সিম নিবন্ধনের সর্বোচ্চ সীমা সাতটি হতে পারে’

রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বইমেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘এমন বইমেলা চাই, যেখানে সব মানুষের বই থাকবে। পাঠক যেটা পড়তে চান, সেটা কিনবেন। এমন একটা মেলা, অবশ্যই সেটা বৈষম্যবিরোধী। কারও প্রতি যেন বৈষম্য না করা হয়।’

গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেলা স্থগিতের তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ২১ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে- অমর একুশে বইমেলা জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আয়োজনের ব্যবস্থা নিতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস) ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের মতামতের ভিত্তিতে বইমেলার যে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা স্থগিত করা হলো।

প্রকাশক ও অন্য অংশীজনদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে নতুন তারিখ ঠিক করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এর আগে বাংলা একাডেমি ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন মাথায় রেখে ১৭ ডিসেম্বর থেকে বইমেলা শুরুর তারিখ নির্ধারণ করেছিল। সে হিসাবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলার কথা ছিল।