সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ শুরু নভেম্বরে, এগিয়ে এলো রাত্রিযাপনের সময়

প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন
প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন © বাসস

দেশের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ এবং রাত্রিযাপন নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী, নভেম্বর মাস থেকে ভ্রমণ শুরু হলেও ডিসেম্বর থেকে দুই মাস রাত্রিযাপন করা যাবে। দ্বীপটিতে ভ্রমণে ১২ নির্দেশনা মানতে হবে পর্যটকসহ সংশ্লিষ্টদের।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুল্লাহ-আল-মামুন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে জানুয়ারিতে রাত্রিযাপন করা যাবে বলে জানানো হয়েছিল।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১ নম্বর আইন) এর ধারা ১৩-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রণীত সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটন নির্দেশিকা, ২০২৩-এর আলোকে সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ জারি করল:

১. বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ব্যতীত সেন্টমার্টিন দ্বীপে নৌযান চলাচলের অনুমতি প্রদান করতে পারবে না।

২. বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন গমনের টিকিট ক্রয় করতে হবে। টিকিটের ওপর Travel pass এবং QR code বসানো থাকবে। QR code বিহীন টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।

৩. নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক দিনের বেলায় যাবে এবং দিনেই ফিরে আসবে, রাত্রিযাপন করতে পারবে না।

৪. ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে সেন্টমার্টিন দ্বীপে রাত্রিযাপন করতে পারবে।

৫. পর্যটকের সংখ্যা গড়ে প্রতিদিন ২০০০ (দুই হাজার) এর অধিক হবে না।

৬. ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটক যাতায়াত বন্ধ থাকবে।

৭. সেন্টমার্টিন দ্বীপে রাতে সমুদ্র সৈকত এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি এবং বার-বি কিউ পার্টি করা যাবে না।

৮. কেয়া বনে প্রবেশ এবং কেয়া ফল সংগ্রহ ও ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না।

আরও পড়ুন: সাগরে লঘুচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

৯. কোনোভাবেই দ্বীপের জীববৈচিত্র্যের (সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, তারা মাছ, রাজকাঁকড়া, সামুদ্রিক ঘাস, সামুদ্রিক শৈবাল ইত্যাদি) ক্ষতি সাধন করা যাবে না।

১০. সমুদ্র সৈকতে মোটরসাইকেল, সী-বাইক এবং এরূপ অন্যান্য যানবাহন চালানো যাবে না।

১১. নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন বহন করা যাবে না; একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক যেমন: চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিকের চামচ, প্লাস্টিকের স্ট্র, সাবান ও শ্যাম্পুর মিনিপ্যাক, ৫০০ মিলি বা ১০০০ মিলি প্লাস্টিকের পানির বোতল ইত্যাদি বহন নিরুৎসাহিত করা হলো।

১২. প্লাস্টিক বোতলের পরিবর্তে পর্যটকগণকে নিজ নিজ পানির ফ্লাস্ক সাথে রাখতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।