যে ৩ বিষয়ে বেশি ফেল এইচএসসি শিক্ষার্থীদের
- ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ৯টি সাধারণ ও মাদরাসা এবং কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে এবার গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এছাড়া জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। তবে এবার মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার সর্বচ্চো। এইচএসসি পরীক্ষায় এবার বেশি ফেল করেছেন হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে। এবার এই বিষয়ে ফেল করেছেন ৪১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর ইংরেজিতে ফেল করেছেন ৩৮ দশমিক ৮ শতাংশ। আইসিটিতে ২৭ দশমিক ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, এ বছর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ইংরেজিতে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ, আইসিটিতে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৮৮, এছাড়াও হিসাব বিজ্ঞানে ৮২ দশমিক ৪৬। রাজশাহীতে ইংরেজিতে পাসের হার ৬৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, আইসিটিতে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৬১, এছাড়াও হিসাব বিজ্ঞানে ৬৭ দশমিক ২৪। কুমিল্লা বোর্ডে ইংরেজিতে পাসের হার ৬৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, আইসিটিতে পাসের হার ৭৭ দশমিক ২২, এছাড়াও হিসাব বিজ্ঞানে ৭৬ দশমিক ৬৭।
আরও পড়ুন: নটর ডেম কলেজ: এবার জিপিএ-৫ পেল ২৪৫৪ জন
যশোর শিক্ষা বোর্ডে ইংরেজিতে পাসের হার ৫৪ দশমিক ৮২ শতাংশ, আইসিটিতে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৬৩, এছাড়াও হিসাব বিজ্ঞানে ৮০ দশমিক ৮৩। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ইংরেজিতে পাসের হার ৬৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ, আইসিটিতে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৬১, এছাড়াও হিসাব বিজ্ঞানে ৭৮ দশমিক ০৯। বরিশাল বোর্ডে ইংরেজিতে পাসের হার ৭৫ দশমিক ১৬ শতাংশ, আইসিটিতে পাসের হার ৮০ দশমিক ৮৪, এছাড়াও হিসাব বিজ্ঞানে ৭৩ দশমিক ৯১।
এদিকে সিলেট বোর্ডে ইংরেজিতে পাসের হার ৬৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ, আইসিটিতে পাসের হার ৮০ দশমিক ৮৭, এছাড়াও হিসাব বিজ্ঞানে ৬৮ দশমিক ১১। দিনাজপুর বোর্ডে ইংরেজিতে পাসের হার ৬৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ, আইসিটিতে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৯, এছাড়াও হিসাব বিজ্ঞানে ৫৮ দশমিক ৪১।
এবার ১১টি সাধারণ বোর্ডে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন পরীক্ষার্থী। মোট পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গতবছর এইচএসসি ও সমমানে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন পরীক্ষার্থী। গতবার এইচএসসি ও সমমানে মোট পাসের হার ছিলো ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এবার পাস কমেছে ১৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪।
এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছেলে ও ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী। সারা দেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা হয়।