চাকরি ছাড়লেন ঢাবি শিক্ষক, পাওনা ৩২ লাখ টাকা চেয়ে কর্তৃপক্ষের চিঠি
- ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২:৪৭
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন মো. মাহমুদ-উল-তারিক চৌধুরী। বিদেশে শিক্ষা ছুটিতে গিয়ে তিনি আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার কর্মস্থলে ফিরেননি। পরবর্তীতে চাকরিও ছেড়েছেন। তবে বিদেশে শিক্ষা ছুটিতে থাকা অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ছিলেন স্ব বেতনে।
এ কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি আর যোগদান না করায় শিক্ষা ছুটিতে থাকা বেতন-ভাতা ফেরত দিতে কর্তৃপক্ষ একটি চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে মোট ৩২ লাখ ৪১ হাজার ৮৬৫ টাকা পাওনা রয়েছে বলে জানিয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়।
জানতে চাইলে আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘‘বিদেশে শিক্ষা ছুটিতে থাকা অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ব বেতনে ছিলেন তিনি। যেহেতু চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন তাই পাওনা টাকা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই চিঠি দিয়েছে। দুদিন আগে আমিও চিঠিটি পেয়েছি, আজ তাকে এ সংক্রান্ত একটি মেইলও পাঠিয়েছি।’’
আরও পড়ুন: দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের আবেগের প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ভিসি
এদিকে কর্তৃপক্ষের চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালক দপ্তরের ১৫ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট অনুযায়ী আপনার দায়-দেনার হিসাবের মধ্যে রয়েছে মূল বেতন ১৪ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৭ টাকা, বাড়ি ভাড়া (৫৫%) ৭ লাখ ৯৮ হাজার ৪২৮ টাকা, বৈশাখি ভাতা ২৪ হাজার ২৬০ টাকা, উৎসব ভাতা ৪২ হাজার ৬০০ টাকা, বিশেষ সুবিধা ১৫ হাজার ৭৬৯ টাকা, ১৩.৫০% সুদ ৭ লাখ ৯ হাজার ১২১ টাকা।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পাওনা টাকা জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় জমা দিয়ে তার রশিদ অত্র দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো। তবে ভবিষ্যৎ সঞ্চয় তহবিলে চাঁদা ও সুদসহ আপনার মোট ১ লাখ ৮৭ হাজার ৯৭৬ টাকা জমা রয়েছে।