পাহাড়কে অশান্ত করতে ইন্ধনদাতাদের খোঁজা হচ্ছে: র্যাব
- ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৪৬
পাহাড়কে অশান্ত করতে ইন্ধনদাতাদের খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি একেএম শহিদুল রহমান। তিনি বলেন, ‘খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি করা হয়। যদিও দ্রুত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তারপরও পরিস্থিতিকে বড় আকার দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এর পেছনে ইন্ধন আছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। বিদেশি কোনও অপশক্তির সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
একেএম শহিদুল রহমান বলেন, নির্বাচন বানচাল করতে সরকারবিরোধীরা ঝটিকা মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণ ও নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় র্যাব ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে র্যাবের বিশেষ প্রস্তুতি চলছ। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং পুলিশের লুট হওয়া প্রায় ১ হাজার ৩৫৭টি অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। তবে ইতোমধ্যে ৭০-৮০ শতাংশ উদ্ধার হয়েছে। আশা করছি, বাকি অস্ত্রগুলোও উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।
আরও পড়ুন: মাদকের বিনিময়ে সিমেন্ট পাচার, আটক ২৪
তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদকবিরোধী অভিযান এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার অব্যাহত আছে। পাশাপাশি নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনে র্যাব সদস্যদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এসব অস্ত্র বাইরে থাকা নিরাপত্তা ঝুঁকি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘লুট হওয়া অস্ত্র বিভিন্ন শ্রেণির অপরাধীর কাছে থাকতে পারে। এসব অস্ত্র যতদিন বাইরে থাকবে, ততদিন বিষয়টি আমাদেন জন্য চ্যালেঞ্জিং। আমরা আশাকরি জাতীয় নির্বাচনের আগে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হবে ।তিনি বলেন, এই মাসে এই মাসে আমরা ৭৬টি অস্ত্র উদ্ধার করেছি এবং ২৮ জন অস্ত্র মামলার আসামীকে গ্রপ্তার করতে সক্ষম হই।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমরা বিগত ১ বছরে ৩২১টি অস্ত্র উদ্ধার করি এবং এই সংক্রান্তে ২০৪ জন আসামী গ্রপ্তারর হয়। হত্যা মামলার প্রায় ১ হাজার ৮৭২ জন আসামী আমরা গ্রপ্তার করি। ধর্ষণসহ নারী নির্যাতনের ৬ হাজার ৬৬৭ জন, ডাকাত চক্রের সদস্য ৪৪৩ জন, মানব পাচারকারী ৭৩ জন এবং অন্যান্যসহ মোট ৯ হাজার ৫৫৯ জন আসামীকে আমরা গ্রপ্তার করি।
নির্বাচনকালীন চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে র্যাব ডিজি বলেন, ‘প্রতিদিনই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ থাকে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে আমরা নিরলস চেষ্টা চালাচ্ছি। গাজীপুরে র্যাব সদস্যদের আটকে রাখার ঘটনায় মামলা হয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করবে না। আমরা আশাবাদী, যেকোনও পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবো।