ভারতের পশ্চিমবঙ্গ
ড্রামা ক্লাবের অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর লাশ মিলল পুকুরে
- টিডিসি ডেস্ক
- ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৬
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের সামনের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের দেহ। বৃহস্পতিবার রাতে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। শুক্রবার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ কিছুটা স্পষ্ট হয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পানিতে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে তার।
সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার জানিয়েছে, ছাত্রীর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার নিমতার বাসিন্দা অনামিকার। তবে তিনি মদ্যপান করে ছিলেন কি না বা অন্য কোনও মাদক পদার্থ ছিল কি না, তা জানতে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে। সে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এ বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রামা ক্লাবের অনুষ্ঠান চলছিল। সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনামিকা। রাত ১০টা ২০ মিনিটে পুকুরে তাঁকে ভাসতে দেখেন ছাত্র-ছাত্রীরা। তারপর তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কেপিসি হাসপাতালে। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
অনামিকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে স্নাতকের শিক্ষার্থী ছিলেন। অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন সে সময়। ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরাও লাগানো রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, নিরাপত্তারক্ষীও ছিলেন। সবার নজর এড়িয়ে অনামিকা কীভাবে ওই পুকুরপাড়ে গেলেন এবং পড়ে গেলেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়েও।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি, ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন
৪ নম্বর গেটের সামনে তিনটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তবে যে পুকুর থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে, তার দিকে মুখ করে কোনও ক্যামেরা নেই। কীভাবে ছাত্রী পুকুরে পড়লেন, তা স্পষ্ট হয়নি। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা কম। বৃহস্পতিবার অত রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলার কথা ছিল না বলেই জানিয়েছেন উপ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। অনুষ্ঠান চলাকালীন এ ঘটনা ঘটেছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। ২০২৩ সালে মেইন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু হয়। এরপর কর্তৃপক্ষ কিছুটা তৎপর হয়েছিলেন। বাড়তি সিসি ক্যামেরা তখন থেকেই ক্যাম্পাসে রয়েছে।