মাজারে হামলা ও কবর থেকে মৃতদেহ তুলে পোড়ানোর ঘটনায় এইচআরএসএসের উদ্বেগ

হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)
হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) © লোগো

সম্প্রতি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দুর্বৃত্তরা নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার কবর, বাড়ি ও দরবার শরিফে হামলা এবং কবর থেকে তার মৃতদেহ তুলে পোড়ানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ করেছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)। রবিবার (৭ আগস্ট) সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দুর্বৃত্তরা নুরুল হক ওরফে 'নুরাল পাগলা' এর কবর, বাড়ি ও দরবার শরিফে হামলা করে। এমনকি মরদেহ কবর থেকে তুলে মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা। শুক্রবার দুপুরের পর হামলার এই ঘটনায় অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন এবং আহতদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্বৃত্তরা মাজারে হামলা চালিয়ে কবর খুঁড়ে মৃতদেহ তুলে মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ধরনের নৃশংস ঘটনা শুধু মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনই নয়, বরং মৃত ব্যক্তির প্রতি ন্যূনতম মর্যাদা ও মানবিক মূল্যবোধকে কলুষিত করেছে।

আরও পড়ুন: নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, বিএনপি নেতাসহ আটক ৪

এতে আরও বলা হয়, মৃতদেহের মর্যাদা রক্ষা করা একটি মৌলিক মানবাধিকার এবং এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদেও স্বীকৃত। কবর থেকে মৃতদেহ তুলে পোড়ানোর মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা সভ্য সমাজে অকল্পনীয় এবং ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের ওপর সরাসরি আঘাত। এই ধরনের কর্মকাণ্ড সামাজিক সম্প্রীতি, ধর্মীয় সহাবস্থান এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে চরমভাবে বিপন্ন করে তোলে।

বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) ৫ দফা দাবি জানায়। সেগুলো হল- অবিলম্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে; ঘটনার সাথে জড়িত সকল অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; ভুক্তভোগী পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরাপত্তা প্রদান ও মানসিক-সামাজিক সহায়তা দিতে হবে; ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, মাজার, কবরস্থানসহ সকল পবিত্র স্থানকে বিশেষ নিরাপত্তার আওতায় আনতে হবে;  ভবিষ্যতে এ ধরনের জঘন্য ঘটনা রোধে সামাজিক সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ বেছে নিতে হবে এবং জাতীয় পর্যায়ে কার্যকর নীতিমালা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।